পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
এক ছাত্র খুনের ঘটনায় অন্যতম সাক্ষী যুবকের মাথা থেতলানো মৃতদেহ উদ্ধার।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বীরভূমের মহম্মদ বাজারের রানীগঞ্জ মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে।নিহতের পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে।মহম্মদ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে, কুকুর নিয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবক হলেন শামীম সেখ বয়স কুড়ি বছর,বাড়ি সোতসাল গ্রামে।বুধবার সকালে মহম্মদ বাজারে র জাতীয় সড়ক সংলগ্ন লোহা বাজার এলাকার একটি ঝোপ থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মৃত যুবকের পরিবারের দাবি শামীম তার মামার ছেলে খুনের ঘটনায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন।সেই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে নিতে এবং সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি শামীমের পরিবারের। শামীম’এর বাবা আসগর আলী মহম্মদ বাজার থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ কুকুর নিয়ে তদন্ত করার দাবি জানাই সেই দাবি মত পুলিশ কুকুর ঘটনাস্থলে আসে।যদিও পুলিশ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের ১৭ ই মে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান শামীমের মামা আসাতুল্লাহ শেখের ছেলে ১৩ বছর বয়সী নয়ন শেখ।ঘটনার তিনদিন পর কুড়ি মে পার্শ্ববর্তী সেকেন্ডা গ্রামের ক্যানেলের ঝোপ থেকে নয়নের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ওই ঘটনায় গ্রামের কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।ঘটনার পর থেকেই নয়ন শেখ এবং অভিযুক্তর পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে গন্ডগোল চলে আসছে।শামীম’এর পরিবারের আরও দাবি নয়নের খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা সেই মামলা তুলে নেওয়া এবং সাক্ষী না দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল।গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় শামীম।বুধবার সকালে তার মুখ থ্যাতলানো অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয় মহম্মদ বাজারের’ এক ঝোপ থেকে। শামীম’এর মামা আসাতুল্লাহ সেখ বলেন,ছেলের খুনের মামলা তোলার জন্য এবং সাক্ষীর জন্য ফের এই খুনের ঘটনা।
আরও পড়ুনঃ ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিতে গুরুতর আহত এক ব্যক্তি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584