সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
বাড়িতে ছোট ছোট তিন মেয়ে স্ত্রী,বাবাকে রেখে গত আড়াই মাস আগে জাহাজের কাজের জন্য গুজরাটে পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের রামতনু নগরের বাসিন্দা রেজাউল হক লস্কর (৪০)।শুক্রবার ভোরে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।এরপর থেকেই তাঁকে আর ফোনে কোন ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার মাধ্যমে তাঁর পরিবার জানতে পারেন,জাহাজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে রেজাউলের। এই সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।আজ ভোরে রেজাউলের বৃদ্ধ বাবা মুজিবুর রহমান লস্কর ছেলের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছেন গুজরাটে।এ বিষয়ে রেজাউলের ভাইপো ইঞ্জামূল লস্কর জানান।গত ছয়-সাত বছর ধরে রেজাউল জাহাজেই কাজ করেন। তবে আগে স্থানীয় নদীতে জাহাজে কাজ করতেন।গত আড়াই মাস আগে প্রথম তিনি ভিন রাজ্যে জাহাজের কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছেন।জাহাজটি যখন ডিজেল ভর্তি করে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল।সেই সময় হঠাৎই জাহাজটিতে আগুন লেগে যায়।এই ঘটনায় ছয় জনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে তাঁদের পরিবারকে জানানো হয়েছে।তবে বাকি দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও।একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।কোম্পানি সূত্রে রেজাউলের পরিবার জানতে পেরেছেন। আতিয়ার রহমান লস্কর রেজাউলের দাদা জানান,পুনে মেরিন কোম্পানির এম ভি বরুণ নামক একটি জাহাজে কাজ করতো রেজাউল।ওই জাহাজটিতে হঠাৎই আগুন লেগে যাওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে,স্থানীয় থানা সূত্রে তারা জানতে পারেন। পরে যদিও কম্পানিও পক্ষ থেকে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি তাঁদের জানান।একই সঙ্গে তাঁদের মোবাইলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও পাঠানো হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়,একটি জাহাজে আগুন লেগে গিয়েছে এবং কিছুক্ষণ পরই জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজ থেকে দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে বাকি ছয় জনের কোন খোঁজই পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ফোয়ারার জলে কৃষিকাজ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584