তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ

দেশের সব জায়গার সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জেও সকাল থেকে শহর ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যারা চালায় তাদের কথা কজন ভাবে?কি কেন্দ্র কি রাজ্য সবার মুখেই সমাজের হত দরিদ্রদের কথা বলা হলেও এই ভিক্ষাবৃত্তির দৃশ্য কোন সরকার কি দেখতে পায়না?নাকি তারা জানেই না যে দেশে ভিক্ষাবৃত্তি করে আবার কেউ সংসার চালায় নাকি?শুধু মাত্র কালিয়াগঞ্জ শহরেই দের হাজার ভিক্ষুক আছেন খোঁজ রাখেন কি?উত্তর না।

এদের জন্য সরকার থেকে ঘর দেওয়া হচ্ছে,এদের জন্য দুই টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে,এদের জন্য বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।এদের জন্য বিধবা ভাতা ,এদের জন্য পেনশন দেওয়া হচ্ছে।তাহলে এরা এসবের থেকে বঞ্চিত কেন?খোঁজ নিয়ে দেখেছি এরা সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধার একটিও পায়না।তবে এসব কারা পাচ্ছে?পাচ্ছে যাদের এসব পাবার কথা নয় তারাই।রাধিকাপুরের অমিয় বালা,অনন্তপুরের অন্নপূর্ণা দেবশর্মা,ধন কোলের লক্ষী পুরের লক্ষী বালা,সহদেব রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাবু অনেকবার পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস সব জায়গায় গিয়ে বললে আমাদের সাথে কথাই বলেনা।’ভোট দেন আপনারা?তার উত্তরে জানান, ‘ভোট দিই কিন্তু তার পর আমাদের কোন কাজ নাই।আমাদের জন্য যে সুযোগ সুবিধা আসে তার সমস্তটাই নিয়ে নেয় গ্রামের মাতব্বররা।আমরা কিছু চাইতে গেলে বলে দেয় তোরাতো ভিক্ষা করে অনেক উপার্জন করিস তোদের জন্য এসব নয়।এসব গরিবদের জন্য।’ এবারের ভোটে ভিক্ষুকরা এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ভোট আর দেবেনা।তারা বলে,’ভোট দিয়ে কি হবে ঘর চাইলে ঘর পাবোনা, শৌচাগার চাইলে পাইনা,দুইটাকা কেজি চাল যাদের দরকার নাই তারা রেশন থেকে চাল গম তুলে রেশনের দোকানের সামনেই বিক্রি করে দিচ্ছে।অথচ আমরা এক মুঠো অন্নের যোগাড় করতে এই বৃদ্ধ বয়সে আর ঘুরে ঘুরে বেড়াতে পারিনা বাবা।ভগবান আমাদের নেয় ও না। আমরা এদেশের মানুষ নয় বুঝি বাবা।তাই সারা জীবন এভাবেই বেঁচে থাকবার জন্য আমাদের জন্ম হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে মূক-বধির ভোটারদের সচেতনতা কর্মসূচি

সরকার তেলে মাথায় তেল দিচ্ছে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু আমরা কিছু করতে পারছিনা বাবা।তাই ভোট নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নাই।ভোট দিতাম কিন্তু এবার আর ভোট দিবনা’ আক্ষেপের সুরেই সবাই এক কথা বললেন কালিয়াগঞ্জের এক ঝাঁক ভিক্ষুকের দল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584