রক্ত নেই ব্লাড ব্যাঙ্কে, মানবিকতার খাতিরে এগিয়ে এলেন ১ব্যক্তি

0
636

মোহনা বিশ্বাস, হুগলীঃ

মৃত্যুমিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে সমগ্র বিশ্বে। কারণ করোনা ভাইরাস। করোনা মোকাবিলায় স্তব্ধ হয়েছে গোটা দেশ। দেশজুড়ে চলছে ২১দিনের লকডাউন। করোনার হাত থেকে মুক্তি পায়নি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিও। রাজ্যের এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে জেলার একাধিক ব্লাড ব্যাঙ্কে মিলছে না রক্ত।

blood donation camp| newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

হুগলীর সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালগুলিতেও একই চিত্র ধরা পড়ছে। ব্লাড ব্যাঙ্ক শূণ্য হয়ে যাওয়াতে সম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য দফতর একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে “করোনা ভইরাসের জন্য অনেক ব্লাড ক্যাম্প বাতিলের কারণে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব দেখা গিয়েছে। সেজন্য সকল রোগীর বাড়ির লোকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে, আপনারা দয়া করে রক্ত দান করে রক্ত নিন এবং রোগীর স্বার্থে আমাদের সহযোগিতা করুন।” জেলার প্রত্যেকটি হাসপাতালে এই নোটিশ ঝোলানো হয়েছে।

notice |newsfront.co
বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র

এই নোটিশ দেখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন এক সহৃদয় ব্যক্তি। শনিবার চুঁচুড়া হাসপাতালে গিয়ে রক্তদান করেন ২ নং কাপাসডাঙ্গার বাসিন্দা সুরজিৎ শর্মা। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া জরুরী বিজ্ঞপ্তি দেখার পরই বন্ধুদের কাছে রক্তদানের মাধ্যমে রক্ত সঙ্কট থেকে মানুষকে বাঁচানোর আবেদন করেন বছর সাঁইত্রিশের ওই ব্যক্তি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালমুখী হতে চাননি কোনও বন্ধু।

আরও পড়ুনঃ ওসির মানবিক মুখ দেখলো জলঙ্গীর মানুষ

blood donation
নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের রোগী চিকিৎসা করাতে আসছে তাই সুরজিৎকেও হাসপাতালে যেতে নিষেধ করে তাঁর বন্ধুরা। তবে এরকম পরিস্থিতিতে কারোর কথা শোনার পাত্র নন সুরজিৎ। অবশেষে একাই রক্তদান করতে পৌঁছে যান চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে। রক্তদানের পর সুরজিৎ শর্মা বলেন, রক্ত না পেলে মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে পরবে। তাই রক্ত দান করার জন্য সবসময় ঘটা করে রক্তদান শিবিরের দরকার নেই। জরুরী পরিস্থিতিতে রক্তের সঙ্কট মেটাতে সকলের প্রয়োজন রক্তদান করা। রাজ্যের এই কঠিন সময়ে রক্তদান করে মানবিকতার পরিচয় দেন সুরজিৎ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here