নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
গতকাল রাতে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল মুখোশ পরিহিত দুষ্কৃতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকদের উপর অকারণ হামলা চালায়।

এর প্রতিবাদে কাল রাতেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল। আজও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অধ্যাপকরা মিছিলে পা মেলাবেন।
আরও পড়ুনঃ কোমা থেকে ফিরল এম এস সি, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

মুম্বইয়ের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে, তাজমহল প্যালেস হোটেলের কাছে জমা হয়েছিল কাল। ছাত্রনেতা উমর খলিদকেও দেখা গেছে মোমবাতি মিছিলে হাঁটতে। ক্যাম্পাসে আক্রমণের পর দিল্লি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের বাইরে কমপক্ষে ৫০০ শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকরা ছিলেন প্রতিবাদে।
আরও পড়ুনঃ জেএনইউ-এ গেরুয়া হামলার প্রতিবাদে ভোর রাতে মশাল মিছিল বহরমপুরে

একটি জাতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, গতকাল রাতে দুষ্কৃতীরা ক্যাম্পাসে বিনা অনুমতিতে ঢোকার সময় পুলিশ কোনও বাধা দেয়নি। পাশাপাশি উর্দিবিহীন কিছু পুলিশ আক্রমণে অংশ নিয়েছিল।
মহিলা হোস্টেলে ঢুকেও তারা মহিলাদের উপর অত্যাচার চালায়। ভাঙচুর করা হয় হোস্টেলের জিনিসপত্র, বাইরে রাখা গাড়ি। জেএনইউএসইউ-র সভাপতি ঐশী ঘোষের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
হোস্টেলে করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় মহিলা হোস্টেলে একাধিক মহিলা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে, মুখ ঢেকে হোস্টেলে প্রবেশ করে ছাত্রীদের উপর অনর্থক অত্যাচার চালায়। পুরো ব্যাপারটিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি আঙুল উঠেছে বিজেপি ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র প্ররোচনায় এসব হচ্ছে, তা নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ জেএনইউতে আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত, সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে স্ক্রিনশট
কালকের মোমবাতি প্রতিবাদ মিছিলে জেএনইউ-র পাশাপাশি আলিগড়, জামিয়া মিলিয়া, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকরা অংশ নিয়েছিলেন।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ভূপিন্দর চৌধুরী জানান, উপরমহল থেকে আদেশ অনুসারে জেএনইউ-র শিক্ষার্থীদের উপর এভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে। পুলিশ, এবিভিপি-র সদস্যরাও গেটের বাইরে উপস্থিত ছিল। আমরা চাই পুলিশ কমিশনার আমাদের সামনে উপস্থিত হয়ে এই ঘটনার এফআইআর দায়ের করুক।
রবিবার রাতে জেএনইউ-জেএনইউটার একটি শান্তিপূর্ণ বৈঠক ছিল ক্যাম্পাসের ভিতরেই। সেই বৈঠক শেষ হওয়ার সময় সবকিছু গোছগাছ করাকালীন বাইরে থেকে এবভিপি-র কিছু গুন্ডা তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হাতে ব্যাট, লাঠি, রড ইত্যাদি ছিল। ক্যাম্পাস গেটের বাইরে থাকা এবিভিপি-র সদস্যরা ‘ভারত মাতা কি জয়!’ ধ্বনি দিচ্ছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584