শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে ফের করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ হয়ে গেল একটি হাসপাতাল। এর আগেই বন্ধ হয়েছিল আমহার্স্ট স্ট্রিটের শ্রী বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী মারওয়াড়ি হাসপাতাল। এবার ওই এলাকারই মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটি হাসপাতালের একজন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা পজিটিভ আসায় বন্ধ করে দেওয়া হল এই হাসপাতালও। শুধু তাই নয়, যে ১৫ জনের সংস্পর্শে ওই দুজন এসেছিলেন, তাদেরকে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ওই হাসপাতালেই আলাদা করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হওয়ায় দাবি উঠেছে আলাদা কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করার। এই হাসপাতালটিকেই করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসেবে তৈরির চেষ্টা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেই এই পরিস্থিতি হওয়ায় আতঙ্কে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কিভাবে সংক্রমণ ছড়াল মারওয়ারি রিলিফ সোসাইটি হাসপাতালে? জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে রোগীদের চিকিৎসা করতে করতেই ওই নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনার কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তাদের রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানেই টেস্ট করা হলে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। খবর এসে পৌঁছয় হাসপাতালে। যে ১৫ জনের সংস্পর্শে ওই দুজন আসেন, তাদেরকে স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরকার ওই হাসপাতালেই আলাদা করে রাখার জন্য বলা হয়। ফল এই হাসপাতালই হয়ে দাঁড়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। আর সেই কারণে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন শুধুমাত্র ওই হাসপাতালে ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপুল হারে কলকাতা মেডিকেল কলেজে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গোটা হাসপাতালটিকেই কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে নির্দিষ্ট করার দাবি উঠেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের পক্ষ থেকেই। ১৩ এপ্রিল এই হাসপাতালে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ। ইন্টার্নরা সরব হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে রবিবার রাত পর্যন্ত করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ৩১ জন। তারমধ্যে চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাই ২৩ জন। এখনো পর্যন্ত এই হাসপাতালের ৬০ টিরও বেশি লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584