নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজি বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ যেমন দিয়েছেন,তেমনি বাজি ফাটানো নিষেধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এক শ্রেণীর মানুষ গোপনে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করে চলেছেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাত্রি এগারোটা নাগাদ চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ চন্দ্রকোনা টাউন থানা ঝাঁকরা গ্রামের বাজি বিক্রেতা শিবদাস দে’র বাড়িতে চড়াও হয় ।
ওই বাজি বিক্রেতার বাড়ি থেকে প্রচুর বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করার অভিযোগে পুলিশ শুক্রবার রাতে চন্দ্র কোনার গোঁসাই বাজারে শিবতোষ দাস ও সুমন দাস নামে দুই জন বাজি বিক্রেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বারবার সর্বস্তরের মানুষকে বাজি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ।
আরও পড়ুনঃ লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ
তেমনি বিক্রি বন্ধ করার জন্য একাধিকবার প্রচার করেছে। তা সত্ত্বেও অনেকেই পুলিশের কথায় কান না দিয়ে গোপনে বাজি বিক্রি করেই চলেছে। তাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই তিন বাজি বিক্রেতাকে চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ গ্রেফতার করে প্রচুর বাজি উদ্ধার করে । ওই তিনজনের বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করার ঘটনায় ও ওই তিনজন বাজি বিক্রেতা কে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ মহামারীর আবহেই সম্পন্ন হল কোলাঘাট থানায় বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান
চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বেআইনিভাবে বাজি বিক্রি করলে পুলিশ তাকে যেমন গ্রেফতার করবে,তেমনি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাই চন্দ্রকোনা টাউন থানা এলাকা জুড়ে পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলছে জোর কদমে। তা সত্ত্বেও পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে কিছু মানুষ বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584