নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যের পর থেকেই শুরু হচ্ছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। গত কয়েক বছরে এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়েছে। বৃষ্টি খুব একটা না হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই বজ্রপাত। গতকাল রাজ্যের ৫ জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
কিন্তু কেন বাড়ছে বজ্রপাতের পরিমাণ? এর কারণই বা কি? সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধিই এর প্রধান কারন। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
আরও পড়ুনঃ স্থায়িত্ব ও বেতনের দাবিতে গণ ইমেল আংশিক সময়ের শিক্ষকদের
বাজ পড়ে মৃত্যু প্রসঙ্গে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন যে, শহরের থেকে গ্রামে বেশি মৃত্যু হচ্ছে বজ্রপাতের কারনে। ফাঁকা মাঠে চাষের কাজে রত কৃষকেরা মারা যাচ্ছেন বাজ পড়ে। এই বিষয়ে তারা বলেন, কৃষিকাজে বর্তমানে যেসব উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হচ্ছে তা বিদ্যুৎ দ্বারা আকর্ষিত হয়। তাই এই নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপিকা সুজাতা দে
আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন যে, মেঘ তৈরি হলে ফাঁকা মাঠে থাকা যাবে না, কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে, এমনকি গাছের নীচেও দাঁড়ানো যাবে না। কোনো বাড়ির নীচে আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। বাড়িতে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করুন। অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন। এর সাথে আবহাওয়া অফিস দ্বারা জারি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584