নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব থেকে মন্ত্রী বিজেপিতে যোগদান করার পর দল বদলের খেলায় নাজেহাল তৃণমূল। ভাঙন রুখতে সাসপেন্ডেড নেতাকে উচ্চ পদ-সহ ফিরিয়ে দেওয়া হল পূর্বের পদাধিকারীর জায়গাও। সামনে ভোট -মারপিট, ভোট লুট, গুন্ডাবাজি করতে পারা লোকের দরকার তৃণমূলের, তাই প্রয়োজন মেটাতে কোরাপটেড লোকেদের নিয়ে দল গোছাচ্ছে তৃণমূল,কটাক্ষ বিজেপির।
বছর খানেক আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্টের ভেতর সিকিউরিটি এবং ওয়ার্কারদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল প্ল্যান্টের আহএনটিটিইউসি-র দায়িত্বে থাকা শেখ সেলিম আলি সহ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সভাপতি দিবাকর জানার। ঘটনার পরই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় ওই দুই তৃণমূল নেতাকে। তৃণমূল সূত্রে খবর আবারও সেই প্ল্যান্টে শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদকের পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় শেখ সেলিম আলিকে।
আরও পড়ুনঃ তপনের মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এগিয়ে এল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
কয়েকদিন আগে এই সেলিম আলির উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিয়ে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সহ-সভাপতির পদেও তাকে বসিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমানে তিনি শান্তিপুর এক নম্বর অঞ্চলের প্রধান। সাসপেন্ডেড নেতাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া পুরো বিষয়টি দলের ভাঙন রুখতে এবং আসন্ন ভোটে এই সমস্ত মানুষকে-ভোট লুট,গুন্ডাবাজির কাজে লাগানোর জন্য তৃণমূলের চরম চক্রান্ত বলেই মনে করছেন বিজেপি জেলা সভাপতি।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে আসছে শুভেন্দু, চলছে জোরকদমে দলীয় প্রস্তুতি
সাসপেন্ড ছিলেন ঠিকই কিন্তু কোলাঘাট পাওয়ার প্রজেক্টে গন্ডগোলের সাথে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি তৃণমূল নেতার। অতিরিক্ত এবং পূর্বের জায়গা ফিরে পেয়েই খেলা হবে হুমকি তৃণমূল নেতা শেখ সেলিম আলির। দুই নেতার এই রূপ বাগযুদ্ধে সামনের বিধানসভা ভোটের পরিস্থিতি যথেষ্টই উত্তপ্ত এবং চরম ভয়াবহ রূপ নেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহলের একাংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584