নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
‘সোনার বাংলা’ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন বারাসতের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী চিরঞ্জিত। নিজের জনপ্রিয় ফিল্মি সংলাপ ‘বউ হারালে বউ পাওয়া যায় রে, মা হারালে মা পাওয়া যায় না রে পাগলা’-এর আদলে অমিত শাহকে কটাক্ষ করে চিরঞ্জিৎ বলেন, ”বাংলার চাষির বাড়িতে কলাপাতায় দুটো ভাত খেলে বাংলা পাওয়া যায় না রে টাকলা”।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বাংলায় একাধিকবার গরিব পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন অমিত শাহ সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকেই। যা নিয়ে বহুবার সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। ভোটের মুখে সেই প্রসঙ্গ টেনে নিজের জনপ্রিয় সংলাপের আদলে শাহকে যেভাবে নিশানা করলেন চিরঞ্জিৎ, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিজেপিকে নিশানা করে বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, সোনার বাংলার কথা বলছে বিজেপি। কিন্তু, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো কেন সোনার হচ্ছে না?’ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী চিরঞ্জিত আরও বলেন, ‘এখানকার যিনি লিডার বা রাজা ,তাঁর নাম হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র নেতা বা নেত্রী যাঁকে সারা পৃথিবী চেনে,মানে।
আরও পড়ুনঃ নিমতিতা কাণ্ডে এনআইএ-র তলব তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে
সারা পৃথিবীতে পাওয়ারফুল মহিলাদের মধ্যে যে লিস্ট তৈরি হয়েছিল তাঁর মধ্যে উনি ছিলেন। সেই মহিলা বা রাজার জায়গায় অশ্বমেধের ঘোড়া পাঠিয়েছে বিজেপি। যদি এই রাজাটাকে পরাস্ত করে অশ্বমেধের ঘোড়াটিকে নিয়ে চলে যেতে পারে তাহলে সারা দেশটা ওদের হয়ে যাবে। যেমন রামচন্দ্র আটকে গিয়েছিল লব কুশের কাছে, তেমনই সেই অশ্বমেধের ঘোড়া যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছে ওরা, সেই ঘোড়াকে এখানেই কবর দেবে বাংলার মানুষ। এই কথা বলে গেলাম মিলিয়ে নেবেন’।
আরও পড়ুনঃ কেরলে ভোটপ্রচারে গিয়েই রাম-বাম আঁতাতের ইঙ্গিত রাহুলের
এদিকে, রবিবার খানাকুলের সভায় বিজেপিকে ফের নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আগে ৫০টা আসনে জিতুক বিজেপি! পুরো হেরে গিয়েছে, হেরে যাবে বিজেপি। বহু কেন্দ্রে ওদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’ বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, ‘বিজেপি চায় মানুষ ভোট না দিক। বিজেপির কথায় কেউ দালালি করছেন। কিছু অফিসার দালালি করছেন। প্রতিদিন পুলিশ অফিসার বদল করা হচ্ছে। নির্বাচনে কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “মোদীরা আসবে ভাঁওতা দেবে, পালিয়ে যাবে। দেশটা কেই বিক্রি করে দিচ্ছে। আগে দিল্লি সামলান। আমার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার কোনও অধিকার নেই আপনার। নির্বাচন চলাকালীন আমার অফিসারদের নির্দেশ দিচ্ছেন। ক’দিন আগে বাংলাদেশে গেছেন উনি, সেখানেও দাঙ্গা বাধিয়ে এসেছেন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584