নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ দখল নিয়ে তৃণমূলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলে ব্যাপক উত্তেজনা দিনহাটায়।
এদিন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। অভিযোগ, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজেকে প্রধান হিসেবে দাবি করে আসা পাপিয়া রায়কে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পাপিয়া রায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর পঞ্চায়েত দফতরে না আসার অভিযোগ ওঠে।
আর সেই কারণে সেখানকার উন্নয়ন মূলক কাজ থমকে যায়। করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ভিন রাজ্য থেকে যখন শ্রমিকরা ফিরছিলেন, তখন তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করা, খাবারের ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন কাজে প্রধান দফতরে না আসায় সমস্যায় পড়তে হয় প্রশাসনকে। এরপর ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের মধ্যে ১৩ জনের সম্মতি নিয়ে উপপ্রধান নাবিরুদ্দিন মিয়াঁকে প্রধান পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই মর্মে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ সীমান্তে লক্ষাধিক টাকা সহ ৩ ব্যক্তিকে আটক
কিন্তু এতে আপত্তি জানান দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসকের কাছে নালিশ জানান। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাপিয়া রায়কে সরিয়ে দেওয়ারও বিরোধিতা করেন। এরপর এদিন পাপিয়া রায় পুলিশ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।
কিন্তু বাধা দেয় পাপিয়া রায় বিরোধী শিবিরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁদের অনুগামীরা। এই নিয়ে কার্যত পঞ্চায়েত দফতরের সামনে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পাপিয়া ফিরে যেতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুনঃ মাস্কহীনদের হুঁশ ফেরাতে জটেশ্বরে পুলিশি তৎপরতা
পাপিয়া রায়ের অভিযোগ করে বলেন, ‘বিডিও-র নির্দেশে পুলিশ নিয়ে এদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢুকতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত দফতরে যেতেই দলেরই অন্য একটি গোষ্ঠী বাধা দেয়। শেষে অফিসে না ঢুকেই ফিরে যেতে বাধ্য হই।’
অন্যদিকে পাপিয়া রায়ের বিরোধী গোষ্ঠীর প্রধান বলে পরিচিত নবারুদ্দিন মিয়াঁ বলেন, ‘সেসময় আমি গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিলাম না। তবে যেটুকু শুনেছি, সাধারণ মানুষ ওনাকে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে ঢুকতে দেন নি।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584