পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
পৃথিবী বিখ্যাত গায়ক কিশোর কুমারের একটি বহুল প্রচলিত গান ছিল,
“চোখের জলের হয় না কোনো রং….তবু কতো রং এর ছবি আছে আঁকা……দেখতে গিয়ে হারিয়ে গেলাম গহিন আঁধার পথে……..আঁকা বাঁকা “……..
কার্যত গানের অন্তর্নিহিত মানসিক দ্বন্দে লড়াই চালিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে কোনো প্রকার কসুর করেননি টিকিট না পাওয়া নরেশ বাউরি। কিন্তু ততক্ষণে রংহীন চোখের জল গড়িয়ে ভিজিয়ে ফেলেছে শুকনো চিবুক।অস্বস্তি আরও বেশি, কারণ পাশের আসনে হাসি মুখে বসে আছে সদ্য দুবরাজপুর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পাওয়া প্রার্থী অসীমা ধীবর। একজনের মুখে চওড়া হাসি তো অন্যজনের চোখে জল মুখে বিষন্নতা। এমনই বিরল দৃশ্য ধরা পরল দুবরাজপুরের তৃণমূলের মহিলা জনসভায়।
শনিবার দুবরাজপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলাদের নিয়ে জনসভা ডেকেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একই মঞ্চে দুবরাজপুর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পাওয়া প্রার্থী অসীমা ধীবর, পাশেই টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে চোখে জল নিয়ে বসেছিল সদ্য-প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেশ বাউরি। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার নরেশ বাউরি বলেন, কেন দল তাকে টিকিট দিল না, কি অপরাধে তার প্রার্থীপদ এবার কেড়ে নিল দল, সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না।
তবে দলের তিনি একনিষ্ঠ কর্মী। দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব বলেও জানাযায় তার কাছ থেকে। মৃত্যুর দিন অবধি সৈনিক হিসেবেই দলকে সেবা দেব বলে জানান। এদিকে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস্ এবছর নির্বাচনে না দাঁড়াতে পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বিশ বাঁও জলে মুর্শিদাবাদ – নদীয়ার বক্সীপুর ঘাটের ব্রিজ
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে শনিবার তিনি কলকাতায় ফরওর্য়াড ব্লকের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। যদিও এ বিষয়ে মইনুদ্দিন শামসে্র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন বাম দলের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক বৈঠক এখনও হয়ে ওঠেনি। তবে আগামী দুএক দিনের মধ্যে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক হবে তারপর তিনি সব খোলসা করে জানাবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584