নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রাজভবন- নবান্নের দ্বৈরথ আবহেই শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। রাজ্যপালের ভাষণের সময় দলের সমস্ত বিধায়ককে অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত থাকার নির্দেশ জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদয়ী দল। গতকাল দলের পক্ষে এই হুইপ জারি করেছেন তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ।
নতুন বিধানসভার প্রথম অধিবেশনের আগে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপাল সঙ্ঘাত চরমে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জৈন হাওয়ালা দুর্নীতি মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডের মূল কান্ডারি দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। রাজ্যপালের সঙ্গে বিতণ্ডা চলছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতেই আজ বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল।
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছবেন রাজ্যপাল। বিধানসভার ৩ নম্বর গেট দিয়ে তাঁর কনভয় প্রবেশ করবে। রীতি অনুযায়ী বিধানসভার গাড়িবারান্দা থেকে অধিবেশন কক্ষে রাজ্যপালকে নিয়ে যাবেন স্পিকার এবং এরপর ভাষণ দেবেন তিনি। প্রচলিত রীতি অনুসারে সরকার পক্ষের লিখে দেওয়া ভাষণই বিধানসভায় পাঠ করেন রাজ্যপাল। কিন্তু জগদীপ ধনখড় আপত্তি জানিয়েছেন এ নিয়ে। শাসকদলের ধারণা, ভাষণে তাঁর অপছন্দের অংশ বাদ দিতে পারেন রাজ্যপাল বা নতুন কিছু যোগও করতে পারেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে বিধায়করা যাতে অধিবেশন কক্ষেই নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারেন, সেই কারণেই সবাইকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ভোটে বিপুল জয়ের পর বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিন দলের শক্তি প্রদর্শনও একটি উদ্দেশ্য তাই সব বিধায়ককেই থাকার নির্দেশ এমনটাও জানা যাচ্ছে।
খড়দহের বিধায়ক কাজল সিনহা ও গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রয়াত হয়েছে। এছাড়াও ভবানীপুর বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর স্পিকার সর্বদাই দলীয় হুইপের বাইরে থাকেন। সেক্ষেত্রে যতজন বিধায়ক রয়েছেন, তাঁদের সকলকেই হাজির থাকার হুইপ জারি করেছে তৃণমূলের পরিষদীয় দল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584