নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
গত ২০ মে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়েছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমপান। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা। এরপরই আমপান-বিধ্বস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু আমপান ঝড়ের একমাস পরে আদৌ কী ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে। আমপান ক্ষতিপূরণের দুর্নীতিতে ভরপুর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষগুলোর সরকারি সাহায্য জোটেনি।
কিন্তু দুতলা-তিন বাড়ির মালিক ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ২০০ জনকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।” রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকেই আমপানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চলছে বিক্ষোভ, অশান্তি। এ নিয়ে ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আমপানে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে রাস্তা অবরোধ বাসিন্দাদের
দুর্নীতির অভিযোগের তীর একাধিক তৃণমূল নেতার দিকে। বিরোধী দলগুলির পাশাপালি সাধারণ মানুষও দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। তৃণমূলের জেলা পরিষদের পদাধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির কর্তা, পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, বুথ ও অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আসতেই প্রত্যেকজনের কাজের রিপোর্ট নিতে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ কুখ্যাত ড্রাগ পেডলার ধৃত রায়গঞ্জে
তৃণমূল সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মেঘনাদ পালকে নির্দেশ দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় যে, যতই দলের কর্মী হোক না কেন সত্যিই ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি করলে তাঁকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, দল অভিযুক্তদের টাকা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফ থেকে ২০০ জনকে শোকজ করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584