শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কেন্দ্রীয় দলের চিঠির পরেই মুখ্যসচিবের নির্দেশে শহর ও জেলাগুলিকে আরও পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই কাজ যাতে সুসংবদ্ধ হয় এবং গতিরুদ্ধ না হয়, তার জন্য কলকাতা সহ সমস্ত জেলার সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলির সঙ্গে নির্দিষ্ট করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র বা ল্যাবরেটরির সমন্বয় সাধন করে দিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
এই মর্মে নির্দেশনামা জারি করে রাজ্যের ১০টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির সঙ্গেই এক বা একাধিক জেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িকে। পাশাপাশি কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালকে যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের হাসপাতালগুলির সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে ১০ দফা নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের
ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল বাদে গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলা, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, দঃ দিনাজপুর, মালদহ এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজকে যুক্ত করা হয়েছে মালদহ মেডিক্যালের করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে।মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলাকে।
এছাড়া রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা, মুর্শিদাবাদ এবং রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজকেও এই করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রে যুক্ত করা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাকে। এছাড়া নন্দীগ্রাম এবং বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা, বাঁকুড়া সম্মিলনী, পুরুলিয়া ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজকেও মেদিনীপুর মেডিক্যালের করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
আবার এসএসকেএম হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে। এছাড়াও ডায়মন্ডহারবার জেলা স্বাস্থ্য, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল এবং এসএসকেএম হাসপাতালকে এসেএসকেএম পরীক্ষাকেন্দ্রে যুক্ত করা হয়েছে। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে হাওড়া ও হুগলি জেলা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং লেডি ডাফরিন হাসপাতালকে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে আর জি কর, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে এবং নদীয়া জেলাকে।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের নাইসেড গবেষণাগারের সঙ্গে এই যুক্ত করা হয়েছে কলকাতা, দুই বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনাকে। এছাড়া বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা, এনআরএস, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে, আইডি হাসপাতাল, সমস্ত ইএসআই হাসপাতাল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালগুলিকেও এই নেটওয়ার্কিংয়ে নাইসেডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ওই কোভিড হাসপাতাল, রাজারহাট এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে। আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালের পরীক্ষাকেন্দ্রের সমন্বয়ে আনা হয়েছে রাজ্যস্থিত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সব হাসপাতালকে।
এছাড়াও বলা হয়েছে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা নমুনার সংখ্যা তাদের আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের নমুনার সংখ্যা তাদের সাধ্যের বাইরে গেলে নাইসেডে এবং একই ভাবে রাজারহাটে সিএনসিআই-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের পরীক্ষাকেন্দ্রের নমুনার সংখ্যা বেড়ে গেলে সেগুলিও নাইসেডে পাঠাতে হবে।
রাজ্যের দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী এবং ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য এই নির্দেশনামা জারি করে সেইমতো জেলায় জেলায় স্বাস্থ্যকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। প্রতিদিন যেন রাজ্যে আরো বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করা যায় এবং করোনা সংক্রমিত রোগীর চিহ্নিতকরণে যেন রাজ্য কোনোভাবেই পিছনে না থাকে, সে ব্যাপারে সমস্ত হাসপাতালকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলেছেন রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584