ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্ট:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্টেশনের ওভারব্রিজের নিচে এক শিশু তার পাশে শুয়ে থাকা এক মহিলার চাদর ধরে টানাটানি করছে, খেলা করছে ও ওই মহিলাকে জাগানোর চেষ্টা করছে। অনেকেই প্রথমে বুঝতে পারেনি যে ব্যাপারটা কি। বছর দেড়েকের সেই অবুঝ শিশুও বুঝতে পারেনি যে সে কি হারিয়েছে। আসলে ছিন্ন বস্ত্রে পাশে শায়িত মৃতদেহটি আসলে তার মায়ের।
बिहार के मुजफ्फरपुर का ये वीडियो हैं जहां एक बच्चा रेलवे स्टेशन पर मां से खेल रहा, उसे जगा रहा
उसे नही पता उसकी मां हमेशा के लिए सो चुकी है, भीषण गर्मी में चार दिन से ट्रेन में भूखी प्यासी मां की मौत हो गयी pic.twitter.com/xQCRby2q5P— Kavish (@azizkavish) May 26, 2020
এহেন দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই অনেকেই নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। প্রথমত লকডাউনে কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা কর্মহীন পড়ে। তারপর চরম অব্যবস্থার মধ্যে কর্মস্থলেই আটকে থাকার চিত্র অনেকবারই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। তারপরেই বাড়ি ফেরার মরিয়া চেষ্টা। সে বাড়ি ফিরতে গিয়ে পথের মাঝেই প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার পিষ্ট হয়েছেন গাড়ির চাকায়। শেষ পর্যন্ত সরকার থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন গুলোও আবার অনেক ক্ষেত্রেই গন্তব্যস্থলে না পৌঁছে চলে যাচ্ছে অন্যদিকে। তাতে দুদিনের যাত্রাপথ দাঁড়াচ্ছে ৯-১০ দিনে। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জল ও খাবার সংকটের মধ্যে সেই ট্রেনেই কাটাতে হচ্ছে অনেক শ্রমিককে । আর যারা সুযোগ পাচ্ছেন না তারা ফিরতে মরিয়া হয়ে খেয়ে না দেয়ে অনেক ক্ষেত্রে স্টেশনেই অপেক্ষা করছেন। অভিযোগ উঠছে চরম অব্যবস্থার।
আরও পড়ুন:বাড়ি ফেরার পথে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন শ্রমিক নাজিরা
আর তেমনি এক পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন এই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের মহিলা সদস্যা। বাড়ি ফেরার জন্য গুজরাট থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু খিদে ও জলের তেষ্টায় অসুস্থ হয়ে বিহারের মোজাফফরপুর স্টেশনে ঢোকার আগেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মুজাফফরপুর স্টেশনেই নামিয়ে রাখা হয় ওই মহিলার মৃতদেহ।
শুধু তাই নয় ওই একই স্টেশনেই দিল্লি থেকে রওনা দেওয়া দু বছরের আরেকটি শিশু খাবার ও জল সংকটে অসুস্থ হয়ে মারা যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584