পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীর মাথা মুড়িয়ে অত্যাচার

0
109

সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ

torture to housewife | newsfront.co
নির্যাতিতা মহিলা।নিজস্ব চিত্র

মধ্যযুগীয় বর্বরতা এই একবিংশ শতাব্দিতে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এক মহিলার মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী-‌সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে ঢোলাহাটের পাকুড়তলা এলাকায়।

রফিকুল মোল্লা,আক্রান্ত মহিলার বাবা।নিজস্ব চিত্র

এই ঘটনায় নির্যাতিতা বধূ আজমিরা বিবি হাসপাতালে চিকিৎসার পর আপাতত বাপের বাড়িতে আছেন।এই ঘটনায় বধূর স্বামী সমছেলহক সেখ-‌সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা বধূ ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে সমছেলহক সেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধৃতকে শুক্রবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।পুলিশ খুনের চেষ্টা,বধূ নির্যাতন-‌সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।বাকি অভিযুক্তরা পলাতক।

আসমীনা সেখ,আক্রান্তর জা।নিজস্ব চিত্র

সমছেলহক সেখের দুই বিয়ে।গত ৬ বছর আগে সমছেলহকের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যান।সেই স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আজমিরা বিবিকে বিয়ে করে। ৪ বছরের এক সন্তানও আছে।কিন্তু বিয়ের পর থেকে আজমিরার ওপর স্বামী ও প্রথম পক্ষের ছেলে মিলে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ গরু চরানোকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে পিটিয়ে খুন

বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশিও হয়েছে কয়েকবার। সালিশিতে সমছেলহক আর অত্যাচার করবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দেয় বলে অভিযোগ।কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আবার আজমিরার ওপর স্বামী অত্যাচার করতে থাকে বলে অভিযোগ।

প্রথম পক্ষের ছেলেও বাবার সঙ্গী হয়।আজমিরাকে লাঠি,রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।একসময় মারের চোটে অচৈতন্য হয়ে পড়েন আজমিরা।এরপর আজমিরার মাথা মুড়িয়ে দেওয়া হয়।বেশ কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে এলাকার মানুষ তাঁকে উদ্ধার করেন।

নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গদামথুরা হাসপাতালে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বধূ।এদিন নির্যাতিতা বধূ বলেন, “আমাকে প্রায়শই মারত স্বামী।সঙ্গী হত প্রথম পক্ষের ছেলে ও তাদের স্ত্রীরা।কয়েকবার সালিশিও হয়েছে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here