শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকের নির্দেশেই অথবা ব্যক্তিগত অনুরোধে সরকার অনুমোদিত ল্যাবে এতদিন হচ্ছিল করোনা পরীক্ষা। কিন্তু সম্প্রতি কাঁকুড়গাছির একটি ল্যাবরেটরির কথা কানে আসায় স্তম্ভিত হয়ে যান স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। জানা যায়, ব্যক্তিগত ভাবে অর্থের বিনিময়ে মানুষের লালারস নিয়ে করোনা টেস্ট চলছে সেখানে। অবিলম্বে ‘ত্রিবেণী ক্লিনিক’ নামে ওই ল্যাবরেটরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফুলবাগান থানায় ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, করোনা টেস্ট করার জন্য ওই ল্যাবরেটরির আইসিএমআরের স্বীকৃতি ছিল না। করোনা টেস্ট করার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইনও মানা হচ্ছিল না। এমনকি, রাজ্যের তরফে করোনা টেস্ট-এর জন্য যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও নাম নেই। এর পরেও অবৈধ ভাবে ফুলবাগানের ওই বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে। ৪-৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক পরিবারের বেশ কয়েকজন এখানে টেস্ট করিয়েছেন। সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা এই খবর পেয়েই বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে জানান।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মঙ্গলবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ‘ত্রিবেণী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনেস্টিক ল্যাবরেটরি’ অবৈধ ভাবে কোভিড-১৯ টেস্টের জন্যে লালারস সংগ্রহ করছিল। তদন্তে জানা যায়, ওই ল্যাবের আইসিএমআর-এর অনুমতিও নেই। তাই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট-২০১৭’ অনুযায়ী ল্যাবরেটরি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যবাসীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আইসিএমআর অনুমোদিত ল্যাব ছাড়া অন্য কোথাও করোনা টেস্ট করাবেন না। এখনও পর্যন্ত ১১টি সরকারি হাসপাতাল এবং ৬টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা-টেস্ট হচ্ছে। তার তালিকা এবং ফোন নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্যবাসীকে অনর্থক বিভ্রান্ত না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584