ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
গত রবিবার ভোরবেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুবনেতাদের গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ। তাঁদের ছাড়াতে ত্রিপুরা পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন ও কুনাল ঘোষ। এই চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করলো ত্রিপুরার পুলিশ।
পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে এই চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয় খোয়াই থানায়। থানায় বসে অভিষেক পুলিশের কাছে যুবনেতাদের গ্রেপ্তারের ও অন্যান্য নথিপত্র দেখতে চান এবং পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ” আপনার উর্দিতে অশোকস্তম্ভ আছে, পদ্মফুল নয়।” এই যাবতীয় ঘটনার পরে অভিষেক সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে খোয়াই থানার অফিসার ইনচার্জ মনোরঞ্জন বর্মা এই মামলাটি করেছেন। এই এফআইআরে অভিযুক্ত করা হয়েছে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক এবং প্রকাশ দাসকেও।
আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় তৃণমূল আক্রান্ত হলে ভেটাগুড়িতে থাকতে পারবে না বিজেপিও, বেফাঁস মন্তব্য উদয়নের
রবিবার থানায় বসে পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এমনই অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এমনকি দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহাদের আদালতে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছেন তাঁরা বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। পশিচম বাংলার চার তৃণমূল নেতা সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ নয়া বিদ্যুৎ বিলের বিরোধিতায় ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য শাখা, সাংসদদের ইমেল
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, অভিযোগ থাকলে রবিবার আদালতে কেন বলেনি পুলিশ? এতদিন পর কেন মামলা দায়ের করা হলো! তৃণমূল নেতা এবং এই এফআইআর-এ অভিযুক্ত কুনাল ঘোষ অবশ্য বলেন বিজেপি ভয় পেয়েছে। বিজেপির নির্দেশেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে দেবাংশু, সুদীপ রাহা,জয়া দত্ত সহ আরো বেশ কিছু তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে খোয়াই থানা। খবর পেয়েই অভিষেক সহ অন্যান্য নেতারা ত্রিপুরা পৌঁছে যান। ত্রিপুরার আদালতে শেষ পর্যন্ত ছাড়া পান গ্রেপ্তার হওয়া সব তৃণমূল নেতাই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584