শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
হাইওয়েতে পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে ট্রাকে ২৫% অতিরিক্ত বহন ক্ষমতার দাবি করেছিল ট্রাক মালিক ব্যবসায়ী সংগঠন। কিন্তু পুলিশি জুলুম তো কমেইনি, এমনকি তাদের দাবিও মেনে নেওয়া হয়নি। সেই কারণে এবার আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর ট্রাক ধর্মঘটের হুশিয়ারি দিলেন ট্রাক ব্যবসায়ী সংগঠনের মালিকরা।
পুজোর আগেই আচমকা এই ট্রাক ধর্মঘটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরাও।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারী থেকে কম ফলনের জেরে এমনিতেই বাজারের মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে সবজি আনাজ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। কিন্তু সেই তুলনায় মানুষের রোজগার তো বাড়েইনি, উল্টে কমেছে। এর মধ্যে ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট যে আরও বিপদ ডেকে আনবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভা ভোটের আগেই হিংসার ইঙ্গিত, আনলক পর্বে রাজ্যে রাজনৈতিক বলি ১২
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, হাইওয়েতে রীতিমতো পুলিশি জুলুম চলছে। পুলিশের চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে কেস দিয়ে জরিমানা আদায় করছে। এছাড়া নো এন্ট্রির নামে পুলিশের অত্যাচার বাড়ছে। পাশাপাশি সেচ দফতর এবং বিএলআরও–রও জুলুম চলছে। ক্ষতি এড়াতে ২৫ শতাংশ বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি চাইলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ সুদের উপর বাড়তি দিতে হবে না, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
ট্রাক মালিকদের দাবি, অন্যান্য রাজ্যের মতো ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত এক্সেল লোড চালু করতে হবে, লোডিং পয়েন্ট থেকে ওভারলোড বন্ধ করতে হবে। ট্রাকের ওপর ডাক পার্টি, ট্যাগ পার্টি, থানায় থানায় মাসিক পুলিশকে টাকা দেওয়া এবং বালি–পাথর মাফিয়ার দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে৷ পাশাপাশি মোটর ভেহিকেলসের বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের অকারণ হয়রানিও বন্ধ করতে হবে৷
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নীতির বিরুদ্ধে ভারত বনধ
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ধর্মঘটে কাজ না হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলন হবে৷ ধর্মঘটের তিনদিন রাজ্য থেকে যেমন ভিনরাজ্যে পণ্যবাহী ট্রাক যাবে না, তেমনই বাইরের রাজ্যের ট্রাকও এই রাজ্যে প্রবেশ করবে না৷ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকারই।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584