নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পেছন থেকে বৌমা জাপটে ধরেছে , আর ছেলে একের পর এক পেটে বুকে মাথায় সজোরে ঘুসি মারলো গর্ভধারিনী মাকে। মারের চোটে জ্ঞান হারালেন ৫৫ বছর বয়সী মা। মেদিনীপুর হাসপাতালের বেডে শুয়ে সজোল চোখে ছেলের নির্মম অত্যাচারের কথা বলে গেলেন মা। ঘটনাটি গোয়ালতোড় এর মাহালিসাই-এর। গ্রামের দুর্গাচরণ মাহাতো এবং তার স্ত্রী মামনি মাহাতো মঙ্গলবার ব্যাপক মারধর করে তার মা লতিকা মাহাতোকে।
সংজ্ঞাহীন মহিলাকে প্রথমে কেয়াকোল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, পরে তাকে মেদিনীপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । লতিকা দেবীর বক্তব্য সংসারে তার ছোট ছেলে আর তার বউ নিত্য অশান্তি করতো , মারধোরও করতো ,মঙ্গলবার সেই মারধর চরম মাত্রায় পৌঁছায় । কিল চড় ঘুষি ছাড়াও গলা টিপে মেরে ফেলতে চেয়েছিল তার ছেলে এবং বৌমা। লতিকা দেবীর দুই ছেলে। বড় ছেলে হিমাংশু মাহাতো তার সন্তান সন্ততি নিয়ে বাবা-মার কাছে থাকেন। ছোট ছেলে দুর্গাচরণ বউ ছেলে মেয়েকে নিয়ে আলাদাই থাকেন । তবুও বিভিন্ন আছিলায় সংসারে অশান্তি মারধোর চিৎকার-চেঁচামেচি করতো তার ছোট ছেলে দুর্গাচরণ ,এমনটাই অভিযোগ তার মায়ের।
তার মা আরো জানালেন, দুর্গাচরণ এলাকায় তৃনমূলের নেতা তাই পুলিশ, পঞ্চায়েতে ভয় করে না বলে অভিযোগ তার মায়ের । মঙ্গলবারও মারধরের পর তারা গোয়ালতোড় থানায় গিয়েছিলেন । সেখানে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লতিকা দেবী। এদিকে মারধরের কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন দুর্গাচরণ বাবু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584