দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু খুদের, পার্কে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অপহরণ-খুনের তত্ত্ব নাকচ পুলিশের

0
46

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

মায়ের পাশ থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘন্টাদু’য়েক পরে পার্কের মধ্যে থেকে মিলেছিল ৮ মাসের শিশুকন্যার মৃতদেহ। শনিবার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের ফুটপাথের এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ালেও ঘটনাটির পিছনে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল পুলিশের।

new born baby | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

এবার ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর শিশুটির পরিবারের তোলা অপহরণ ও খুনের অভিযোগ পুরোটাই নাকচ করল পুলিশ। আচমকা উঠে গিয়ে হামাগুড়ি দিতে দিতে পার্কের ভিতরে পড়ে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির, এমনটাই উঠে এসেছে ময়না তদন্তের রিপোর্টে।

পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শিশুটির দেহে বিশেষ কোনও আঘাত নেই, যা খুনের তত্ত্বকে প্রমাণ করতে পারে। যদিও হাত-পা, মুখের কাছে রয়েছে ছড়ে যাওয়ার দাগ। তার ফুসফুস, পাকস্থলীর মতো বেশ কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা একমাত্র পড়ে গিয়েই হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ফুটপাথ থেকে ৮ মাসের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংস হত্যা

পুলিশের অনুমান, মাঝরাতে উঠে হামাগুড়ি দিতে দিতে পার্কের ভিতর ঢুকে পড়ে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুটির। জানা গিয়েছে, আট মাসের এই শিশুটির নাম খুশি খাতুন। মা-বাবার সঙ্গে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছেই ফুটপাতে থাকত সে। জন্মের পর থেকেই সে খুবই দুষ্টু ছিল বলে জানিয়েছেন তার আত্মীয়রা। সেই কারণে মা তাকে ধরে রেখে ঘুম পাড়াতেন। কোমরে দড়িও বেঁধে রাখতেন। শনিবার রাতে মায়ের পাশেই ঘুমোচ্ছিল সে।

আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ শহরতলির অটো দৌরাত্ম্য সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু বলে আশঙ্কা পুরসভার

রবিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মা ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শিশুটি কোলের কাছে নেই। স্বামী শেখ রাজুকে ডাকেন তিনি। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় শিশুর খোঁজ। পরে সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের নিরাপত্তারক্ষী মাঠের এক জায়গায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই পরিবারকে খবর দেন। মা শনাক্ত করেন তাঁর সন্তানকে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। ঘটনাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা শুরু হয়। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্টেই মোড় ঘুরে যায় গোটা তদন্তের। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ জেনেছে, এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র। তবে এই ঘটনায় তার অভিভাবকদের গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি সম্বন্ধে আরো নিশ্চিত হতে সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here