বিধানসভা ভোটের আগেই হিংসার ইঙ্গিত, আনলক পর্বে রাজ্যে রাজনৈতিক বলি ১২

0
49

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু, আনলক পর্বে ১ জুন থেকে এখনও অব্দি রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন সরকার ও বিরোধী পক্ষ মিলিয়ে মোট ১২ জন।

political clash | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সব দলই। করোনা আবহের মধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে। ১ জুন আনলক ওয়ান শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের বলি কমপক্ষে ১২ জন।

এই তালিকায় রয়েছে ৬ জন বিজেপি কর্মী, তৃণমূলের ৫ জন ও এসইউসিআই-র ১জন। এরমধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেও খুনের অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে এক বিধায়ক সহ ৪ জন বিজেপি কর্মীর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাঁরা কেউই আত্মহত্যা করেননি, তাঁদেরও খুন করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ রেল কেলেঙ্কারি মামলায় আলিপুর আদালতে চার্জশিটে নাম বাদ মুকুল রায়ের

১০ জুন– বর্ধমান শহরে পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী গৌতম দাসকে।

১৮ জুন– পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপি কর্মী পবন জানা গুরুতর আহত হন রাজনৈতিক সংঘর্ষে, পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়।

৩ জুলাই– দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্নাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগের তীর এসইউসিআইয়ের দিকে।

৪ জুলাই– কুলতলিতে এসইউসিআইয়ের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুধাংশু জানাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ তৃণমূলের দিকে।

৫ জুলাই– নদিয়ার নবদ্বীপে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ দেবনাথকে।

১৬ জুলাই– নদিয়ার বিজেপি কর্মী বাপি ঘোষকেও পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ।

৬ অগাষ্ট– হুগলির আরামবাগে তৃণমূল কর্মী ইসরায়েলকে বোমা মেরে খুন করা হয়। এটি তৃণমূলের দলীয় কোন্দল বলে মৃতের পরিবার জানিয়েছে।

১৫ অগাষ্ট– খানাকুলে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী সুদর্শন প্রামানিকের।

৬ সেপ্টেম্বর– পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ১০০ দিনের কাজের সময় খুন হন বিজেপি কর্মী রবীন পাল। বিজেপির অভিযোগ এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত।

১৭ সেপ্টেম্বর– কোচবিহারের তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকারকে খুনের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।

১৭ সেপ্টেম্বর– পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শেখ নাসিমের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় নাবালক শেখ মাজাহারেরও।

১৯ সেপ্টেম্বর– পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপি কর্মী দীপক মণ্ডলকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

জুলাইয়ে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বাজারের মধ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গৌতম পাত্র, পূর্ব মেদিনীপুরের পূর্ণচন্দ্র দাস ও হুগলির গণেশ দাস ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ দেশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে- হাথরাসে প্রতিবাদে পথে নেমে হুঁশিয়ারি মমতার

বিজেপির অভিযোগ এই চারজনকেই তৃণমূল খুন করেছে। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, অযথা আত্মহত্যাকে খুন বলে প্রচার করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি।

১৪ সেপ্টেম্বর কোচবিহারের বিজেপি কর্মী সম্বারু বর্মনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় রাস্তার পাশ থেকে, শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করে। এইসব মিলিয়ে লকডাউনের পর থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের হাওয়ায় হিংসার ইঙ্গিত স্পষ্ট রাজ্য রাজনীতিতে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here