ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন কার্যকর করা সম্পর্কে কেন্দ্রের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার টুইটার কর্তৃপক্ষ আরো তিনমাস মাস অতিরিক্ত সময় চেয়েছে কেন্দ্রের কাছে। নতুন আইনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, নতুন আইন মেনে চলার ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে।
ডিজিটাল কন্টেন্টগুলিতে নজরদারি চালানো ও নিয়ন্ত্রণ রাখার লক্ষ্যে সক্রিয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় রাশ টানাই এই আইনের উদ্দেশ্য এমনটাই মত বিরোধীদের। ফেসবুক, টুইটার ইনস্ট্রাগ্রামের মতো সব নেটমাধ্যমকে এ বিষয়ে নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃ ‘ওর বাবাও আমাকে ধরতে পারবে না’, যোগগুরু রামদেব উবাচ
তাতে বলা হয়েছে, নতুন কেন্দ্রীয় বিধি সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তার দেখভালের জন্য একজন ‘কমপ্লায়েন্স অফিসার’ নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। তাদের সাইটে কোনও আপত্তিকর কনটেন্ট রয়েছে কি না, তা দেখার এবং প্রয়োজনে সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও তাঁর হাতেই ন্যস্ত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ‘শুধু গোপনীয়তা কেন, কোনো মৌলিক অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়’, হোয়াটসঅ্যাপকে জবাব কেন্দ্রের
প্রয়োজনে কমপ্লায়েন্স অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সংস্থান রয়েছে এই নতুন আইনে। টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , আইনের এই বিষয়টি নিয়ে তাদের সংস্থা উদ্বিগ্ন। এই বিষয়টি নিয়ে এবং নতুন আইনের আরো কিছু দিক নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে চান। সেকারণেই নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন কার্যকর করার সময়সীমা আরও ৩ মাস পিছিয়ে দিতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা জারির আগে সরকারি বিধি মানার প্রক্রিয়া শুরু করল ফেসবুক
গত ২৫ মে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন তাদের কার্যকর করতে হবে অন্যথায় ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সেই অনুযায়ী ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো বড় সংস্থাকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য তিনমাস সময় দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584