রায়গঞ্জে লটারি জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার ২

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

লটারির নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতি চক্রের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত একজনের নাম মহম্মদ জাহাঙ্গীর অপরজনের নাম পাওয়া যায়নি।

জাহাঙ্গীরের বাড়ি মালদা জেলার সামসি এলাকায়।ওই চক্র আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মূলত গ্রামবাসীদের চেষ্টাতেই ওই ব্যক্তি গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,রায়গঞ্জ থানার বিরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়নগর এলাকার একটি বারোয়ারী পুজো কমিটির নামে একটি লটারি খেলা চালু করেছিল কয়েকজন মিলে।

স্থানীয় কাউকে না বলে বাইরের জেলার কিছু ব্যক্তি এসে ওই কমিটির নামে খেলার টিকিট বিক্রি করে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ছিল ৫০ টাকা। ১ লক্ষ টিকিটের খেলা হবে বলে টিকিটের মধ্যে উল্লেখ করা ছিল।কিন্তু সাধারন ভাবে ওই লটারি খেলা না করে ওরা নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারির নিয়ম ও সিরিজ অনুযায়ী প্রাইজ বলে টিকিটের পিছনে উল্লেখ করে।

তাতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর সিরিজ সেখানে উল্লেখ রয়েছে।এই লটারির টিকিট রায়গঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ ওই টিকিট কেনে।গতকাল রাতে একটি গাড়ি করে জয়নগর এলাকায় লটারি টিকিট বিক্রি করতে যায়।ওই লটারি টিকিট দেখে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়।

আরও পড়ুনঃ ওয়াটার পিউরিফায়ার সার্ভিসিং এর নামে চেক জালিয়াতির অভিযোগ

তাদের গ্রামের একটি মন্দিরের নাম করে এই লটারির টিকিট ছাপানো দেখে।কিন্তু মন্দির কমিটির একজনও বিষয়টি জানতেন না।

স্থানীয় মানুষেরা ওই লটারি টিকিট দেখে সন্দেহ হলে তাদেরকে জিজ্ঞাস করলে তারা ঠিক মতো উত্তর দিতে না পারায় স্থানীয় মানুষেরা তাদের গাড়িটিকে আটকাতে গেলে গাড়িতে থাকা দুইজন পালিয়ে গেলেও গাড়ির চালক ও লটারি খেলার এক পান্ডা মহম্মদ জাহাঙ্গীরকে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা।

খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।ওই পান্ডাকে পুলিশের সামনে মারধর করে উত্তেজিত স্থানীয় মানুষেরা।কোন ভাবে ওই জাহাঙ্গীরকে থানায় নিয়ে আসা হয়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।এদের সাথে যারা জড়িত আছে তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।