জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত জীবন্তির দুর্গাপুর গ্রামের ইন্তাজুল সেখের স্ত্রী তনুজা বিবি দেওর নারাজুল সেখের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। স্বামী ইন্তাজুল সেখ স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় গতকাল রাতে ইন্তাজুলকে খুন করে সৎভাই অর্থাৎ স্ত্রীর প্রেমিক নারাজুল সেখ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে ইন্তাজুল সেখের সঙ্গে তনুজা বিবির বিয়ে হয়। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকত ইন্তাজুল সেখ। তনুজার কাছে সমস্ত টাকা এবং সোনা দানা সব কিছুই রাখা থাকত। কিন্তু ইন্তাজুলের পরিবারকে সঠিক হিসাব দিত না তনুজা বিবি। বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে ইন্তাজুলের সৎ ভাই নারাজুলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় তনুজা বিবি। পরিবারের লোকেরা নিষেধ করায় শ্বশুর শাশুড়িকে শুধু দোষারোপ নয় সৎভাই নারাজুল এবং তনুজা বিবি ইন্তাজুলের বাবা-মাকে মানসিক এবং শারিরীকভাবে অত্যাচার করত বলে জানান ইন্তাজুলের বয়স্ক মা মিনা বিবি।
উল্লেখ্য, গত পনেরো দিন আগে তনুজার স্বামী ইন্তাজুল সেখ বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে ৩০ লক্ষ টাকা এবং দশ ভরি সোনার হিসাবে গড়মিল পায়। এ বিষয়ে ইন্তাজুল তার বাবা মাকেও জানায়। আর তাতেই তার সৎভাই নারাজুল সেখের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তারপর গোপন ভাবে স্ত্রীর মোবাইলে রেকর্ডিং করার পর অবৈধ সম্পর্কের তথ্য উঠে আসে। এ ব্যাপারে ইন্তাজুল গত দুদিন ধরে হুশিয়ারিও দেয় স্ত্রী এবং নারাজুলকে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই চলছিল বচসা! তারপর রাত ৯ টার সময় স্ত্রীর প্ররোচনায় ইন্তাজুলকে বাড়ির আঙিনায় খুন করে নারাজুল, এমনটাই জানা গিয়েছে। মৃত ইন্তাজুলের ছয় বছরের এক মেয়েও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কান্দিতে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুন হতে হল স্বামীকে
রাতেই কান্দি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ইন্তাজুল সেখের মৃতদেহ কান্দি মহাকুমা হসপিটালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। ইন্তাজুলের স্ত্রী তনুজা বিবি এবং প্রেমিক অর্থাৎ সৎভাই নারাজুল সেখকে কান্দি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।পরিবারের পক্ষ থেকে তনুজা এবং নারাজুল দুজনেরই ফাঁসির দাবি করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584