উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
প্রোমোটার রাজ ও সিন্ডিকেটের লড়াই। বাড়ি তৈরির কাঁচামাল নিয়ে ঝামেলার জেরে আনন্দপুরে গুলি চলল।শুক্রবার রাতে পূর্ব কলকাতার গুলশন কলোনির দুটি আবাসনের ছাদে দুষ্কৃতীরা আচমকাই হামলা শুরু করে একে অপরকে লক্ষ্য করে ৷
এক দল অন্য দলের দিকে বন্দুক তাক করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ ৷ ঘটনায় দু’জন জখম হয়েছেন ৷ তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় পুলিশ এলাকার সিসি টিভি ক্যামেরার ছবি খতিয়ে দেখে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আনন্দপুর থানার পুলিশ ও লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুটি আবাসনের ছাদ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চলে । রক্তাক্ত হয়ে ছিটকে পড়ে দু’জন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শুক্রবার বিকেলে এমনই ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী থাকল পূর্ব কলকাতার আনন্দপুরের গুলশন কলোনির বাসিন্দারা। শনিবারও থমথমে গোটা এলাকা। এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটায় হাতির হানায় তছনছ বাড়ি
পুলিশ সূত্রে খবর, আনন্দপুর গুলি কাণ্ডে ধৃতেরা হল মহম্মদ সাজিদ এবং নাদিম আশরাফ। জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের মহম্মদ সাজিদ পশ্চিম চৌবাগার বাসিন্দা। উনচল্লিশ বছর বয়সি নাদিম আশরাফ মার্টিন পাড়ায় বসবাসকারী। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে গুলি কাণ্ডে আরও অজানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুলশন কলোনিতে মিনি ফিরোজের এক পরিচিত প্রোমোটার চারতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেই বাড়িটি ঘিরেই গত কয়েকদিন ধরে দুই সিন্ডিকেটের মধ্যে গোলমাল চলছিল। অভিযোগ, জুলকর তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই নির্মীয়মান বাড়িটিতে আসে। তারা প্রোমোটারের কাছ থেকে টাকা চায়। সেই খবর পেয়ে মিনি ফিরোজের লোকেরা এসে বাধা দেয়। দুই সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে প্রথমে বচসা ও তারপর মারপিট হয়। দু’দলই একে অন্যের উপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুনঃ হাতি তাড়াতে হুলার আগুনে আহত পড়ুয়া,বন দফতরের উদাসীনতায় ক্ষোভ
দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেও যায় তারা। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ জুলকর ফের মিনি ফিরোজের এলাকায় আসে।অভিযোগ, তার সঙ্গে বাইকে করে আসে প্রায় ৩০ জন। বাইকগুলি তারা একটু দূরে রেখে তারা ফিরোজদের দিকে এগিয়ে আসে। প্রথমে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। গোলমাল চরমে ওঠে। জুলকরের অনুগামীরা ওই বাড়িটি ও এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে। তাতে বাধা দেয় ফিরোজের লোকেরা।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, দু’দলই একে অন্যের দিকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। মিনি ফিরোজের এক অনুগামীর গুলিতে আহত হয় জুলকরের দুই অনুগামী শওকত ও ভুজন। তাদের দু’জনেরই পায়ে গুলি লাগে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় আনন্দপুর থানায় খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584