নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
রবিবার বিকেলে ৫টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের বদায়ূন জেলার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী এক মহিলা, পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, যান স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে। তারপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
“মাঝরাতে গাড়ি করে তিনজন আসেন, মন্দিরের পুরোহিত সত্যনারায়ন, তাঁর দুই সহকারী ভেদরাম এবং জসপাল। বলে আমার মা নাকি মন্দির চত্বরে শুকনো কুয়োর মধ্যে পড়ে যান এবং তাতেই আহত হন। কিন্তু মায়ের শরীরে কোনো কাপড় ছিল না, যৌনাঙ্গ থেকে প্রবল রক্তপাত হচ্ছিল এছাড়াও সারা শরীরে অসংখ্য আঘাত ছিল।” জানান নির্যাতিতার ছেলে। নির্যাতিতার স্বামী জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।
পরদিন সকালে তাঁরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে দুবার তাঁদের ফেরত পাঠায়। অবশেষে দুপুরের দিকে ১০২ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে এটিকে সাধারণ দুর্ঘটনা বলে জানায়, যার ফলে মৃত্যুর প্রায় ৪০ ঘন্টা কেটে গেলেও পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ যোগী রাজ্যে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে হত্যা বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়াকে
এরপরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। বদায়ুনের এসপি সংকল্প শর্মা জানান দায়িত্বে থাকা এসএইচওকে দায়িত্বে গাফিলতির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুরোহিত সত্যনারায়ন ইতিমধ্যে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে তার সন্ধান পেতে। গ্রেপ্তার হয়েছে সত্যনারায়নের কুকর্মের দুই সঙ্গী। তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ কিষাণ প্যারেডের আগে পঁচিশ হাজার ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লি সীমান্তে মহড়া
এডিজি বেরিলির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কথা বলেছেন, এই মামলার দায়িত্ব এসটিএফকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলার বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের দ্রুত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584