বাবা মা থেকেও নেই, ঈশ্বরই ভরসা তপনের নাবালক সুশান্ত – প্রশান্তদের

0
77

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

অভাব যেন নিত্য সঙ্গী। দুবেলা পেটভরে খাওয়াটা ওদের কাছে যেন বিলাসিতা। বাবা মা দুজনেই নেই, তাই দিন আনা দিন খাওয়া দিদার সংসারে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে দুই নাবালক ভাইয়ের। তার উপর লকডাউনের কোপে পড়ে ভিন রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে জামাইবাবু কে নিয়ে দিদি, দিদার সংসারে এসে ওঠায় দিন গুজরান করাই এখন তাদের চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।

minor boys | newsfront.co
দিদির সাথে সুশান্ত ও প্রশান্ত। নিজস্ব চিত্র

ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন এলাকার জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতমুলুক গ্রামে। যদিও দিদি জামাইবাবু পরের জমিতে দিনমজুরির কাজ করে দুবেলা দুমুঠো জোটানোর পাশাপাশি নাবালক ভাই দুটিকে শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা চালালেও বাধ সেধেছে প্রতিদিন দিন – মজুরির কাজ না থাকায়।

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে বটুন গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র

এলাকায় চকলেট দাদু নামে পরিচিত এক সমাজসেবী মাঝে মাঝে এসে কিছু সাহায্য করে। তাতেই দুই ভাই কে নিয়ে কোনরকমে দিন কাটছে তাদের।

boys | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

দিদার সংসারে থাকা সুশান্ত মুর্মু ও প্রশান্ত মুর্মু, একজন পড়ে চতুর্থ শ্রেনীতে অন্যজন পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে। ভিন রাজ্য থেকে করোনার লকডাউনের জেরে দিদার সংসারে ফিরে সুশান্ত মুর্মু, প্রশান্ত মুর্মু দুই ভাইয়ের দিদি সুনীতা মুর্মু জানান তাদের বাবা মা থেকেও নেই। কয়েক বছর আগে বাবা মা দুজনেই তাদের ছেড়ে চলে গেছে। তাই দুই ভাই দিদার সংসারে এসে থাকছে।

আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে শহীদ জওয়ানের বাড়িতে রাজ্যপাল

দিদার বার্ধ্যক ভাতার সামান্য টাকা দিয়ে তাদের কোনক্রমে চালাতে হচ্ছে। ওরা দুই ভাই পড়া শোনা করতে চাইলেও ওদের পড়া শোনা চালাতে পারবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত তারা। সুনীতা নিজে পরের জমিতে কাজ করলেও প্রতিদিন এখানে কাজ না জোটায় দিন গুজরান করাই তাদের দুষ্কর হয়ে পড়েছে বলে জানান।পাশাপাশি সামান্য কিছু সঞ্চয় যা ছিল তা লকডাউনের সময় শেষ হয়ে গেছে।

তিনি জানান দিদা সামান্য কিছু ভাতা পায় সেই ভাতার উপর ভরসা করেই কোনরকমে তারা চলেছেন। তার দাবি, তাদের এই দুর্দশার হাত থেকে বাঁচাতে ও ভাই দুটির পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে কোন সুহৃদয় ব্যক্তি বা সরকার সাহায্যের হাত তাদের দিকে বাড়িয়ে দিলে তারা কোনরকমে দিন গুজরান করতে পারবেন। না হলে আগামীতে যে কি ভাবে চলবে সে একমাত্র ঈশ্বর জানে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here