শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
লকডাউনে মানুষের জীবনে প্রবল ভাবে থাবা বসাচ্ছে মানসিক অবসাদ। ফের বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামপুকুরে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং সন্তোষপুরে এক বছর ছাব্বিশের তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, জুন মাসে অবসাদ থেকেই কলকাতায় আত্মঘাতী হয়েছেন ৪৫ জন। পুলিশের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রত্যেকটি আত্মহত্যার কারণ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্যামপুকুরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আয়ুস ভট্টাচার্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কলকাতার নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র আয়ুশ। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই ছাত্র। কিন্তু পরিবারের লোককে তা বলতে চায়নি। রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যায়। বুধবার মধ্যরাতে তার ঘরে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে সন্তোষপুরের মাদুরদহের বাসিন্দা প্রিয়তমা খাতুন নামে বছর ছাব্বিশের এক তরুণীরও দেহ উদ্ধার হয়। সেও মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নিয়মের গেরোয় ১৬ ঘন্টা দোকানেই পড়ে রইল করোনা আক্রান্তের দেহ
প্রসঙ্গত, লকডাউন যে দেশজুড়ে মানুষের মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে দিয়েছে, তার প্রমাণ বারবার মিলছে ইতিমধ্যেই। এমনকি কলকাতা শহরেও শিউরে ওঠার মতো সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, শুধু জুন মাসেই শহরে ৪৫ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। এক এক দিনে ৪টি থেকে ৭ টি আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে রয়েছেন ৭০-৮০ বছরের বৃদ্ধ থেকে ১০-১২ বছরের কিশোর-কিশোরীও।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে বিষপান, ৪ দিন চিকিৎসার পর জ্যেষ্ঠ সন্তান-সহ মৃত্যু রিজেন্ট পার্কের বৃদ্ধার
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে আত্মহত্যা নিয়ে সমীক্ষার কাজ করছে লালবাজারের বিশেষ টিমও। আত্মহত্যা করতে চলা দু’জনকেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে বাঁচিয়েছে পুলিশ । কেউ অবসাদে ভুগলে তাকে ১০০ ডায়ালে ফোন করার পরামর্শও দিয়েছেন খোদ পুলিশ কমিশনার। তারপরেও গত মাসে অ্যাপ ক্যাবচালক, বাস চালক, হকার, অফিস-কর্মচারী, রোগী-সহ অনেকে আত্মঘাতী হয়েছেন। এমনকি স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুন করে ফুলবাগানে অমিত আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। তাই অনলাইনে বিভিন্ন মানুষের কাউন্সেলিংয়ের চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584