নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রাইজোর দলের সভাপতি ও শিবসাগর কেন্দ্রের বিধায়ক অখিল গগৈ-কে ৪৮ ঘন্টার প্যারোলে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। উল্লেখ্য, বিগত ৫৫০ দিন যাবৎ বন্দী রয়েছেন তিনি। অখিলের আবেদন অনুযায়ী গুয়াহাটিতে তিনি দেখা করতে পারবেন স্ত্রী ও সদ্য কোভিড থেকে সেরে ওঠা ১৪ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে এবং জোরহাটে মায়ের সঙ্গে; তার বাইরে আর কারুর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি আদালত এমনকি শিবসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদনও নাকচ করে দেয় আদালত।
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ৪৫ বছর বয়স্ক সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অখিল গগৈ-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে তাঁর হিংসাত্মক প্রতিবাদের ফলে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ছয় জনের।
গগৈ-এর আইনজীবী শান্তনু বরঠাকুর জানিয়েছেন, “অখিল গগৈ এর ১৪ বছর বয়সী পুত্র সদ্য কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন এবং তাঁর ৮৪ বছরের বৃদ্ধা মা’ও অসুস্থ। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণেই আমরা গগৈয়ের প্যারোলের আবেদন জানাই।”
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভব নয়, মত শরদ পাওয়ারের
প্রসঙ্গত, শিবসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে অখিলের জয়ে তাঁর মা প্রিয়দা গগৈয়ের বড় ভূমিকা ছিল। শারীরিক অসুস্থতা সত্বেও অখিলের হয়ে টানা নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন তিনিই। আঞ্চলিক ফ্রন্ট হিসেবে রাইজোর দল ও অসম জাতীয় পরিষদের একমাত্র জয়ী প্রার্থী অখিল গগৈ। গত ২২ জুন এনআইএ অখিল গগৈ-কে ইউএপিএ ধারার দুটি মামলা থেকে মুক্তি দিলেও, এপ্রসঙ্গে চাঁদমারী থানার মতামত জানতে চায় তারা। সে প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। এর আগে মে মাসে বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য তাঁকে অনুমতি দিয়েছিল এনআইএ আদালত।
আরও পড়ুনঃ দেশে ‘ডেল্টা প্লাস’-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৮, মৃত ২, বাড়ছে উদ্বেগ
আদালত প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করার পরে, ২৫ জুন পুলিশের একটি দল তাঁকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়, সেখান থেকে অখিলকে তাঁরা নিয়ে যান চাঁদমারী এলাকায় তাঁর বাসভবনে। এরপরে তিনি যাবেন জোরহাটে মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে, সঙ্গে থাকবে পুলিশ বাহিনী। তারপরে ফিরিয়ে আনা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584