আন্দোলন থেকে সরলো দুই কৃষক সংগঠন

0
88

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক-পুলিশ উত্তেজনার ঘটনার নিন্দা করে, আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালো দুই কৃষক সংগঠন
কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কৃষকদের প্রতিবাদ থেকে সরে গেল রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ান (ভানু)।

Lal Kila | newsfront.co

তবে কি ফাটল ধরলো কৃষক আন্দোলনে! প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কৃষকদের প্রতিবাদ থেকে সরে দাঁড়ালো রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ান (ভানু)।

রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংঘের নেতা ভি এম সিং বলেছেন, “কেন্দ্র তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চয়তা আইন মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলন চলবে। কিন্তু হিংসাত্মক পথে তা চলতে পারে না। অন্য দিশায় যারা আন্দোলন পরিচালিত করতে চাইছেন আমরা তাদের সমর্থন করছি না। কৃষকদের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে। তবে যৌথ মঞ্চ থেকে তাঁর সংগঠন সরে যাচ্ছে।”

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ানের নেতা ভানু প্রতাপ সিং প্রজাতন্ত্র দিবসে হিংসার ঘটনার নিন্দা করে কৃষকদের প্রতিবাদমঞ্চ থেকে নিজেদের পৃথক হওয়ার ঘোষণা করেছেন।

পাশাপাশি কৃষকদের যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকেও বুধবার আন্দোলনকারীদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ দশ কৃষক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের

কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালি ঘিরে মঙ্গলবার রাজধানীতে উত্তেজনার ঘটনায় যোগেন্দ্র যাদব, রাকেশ টিকায়েত-সহ মোট দশজন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। রায়ট, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ডাকাতি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে ১০ জেলায় মোট ২২টি এফআইআর পুলিশ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক।

আরও পড়ুনঃ যৌন নির্যাতন নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিমকোর্টের

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রায়ট, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০০-র বেশি পুলিশ কর্মী। লালকেল্লা-সহ রাজধানী একাধিক জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা রয়েছে বাড়তি আধা সেনা।

তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজপথে ট্রাক্টর র‍্যালি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কৃষক নেতারা। তাতে স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় দিল্লি আদালত, শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর রবিবার কৃষক নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক হয়। স্থির হয় দিল্লি সীমানা দিয়ে কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ে , কেজিপি এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত র‍্যালি যাবে শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু, মঙ্গলবার র‍্যালি শুরু হওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। রুট বদলে মধ্য দিল্লির দিকে যেতে শুরু করে ট্রাক্টর র‍্যালি।

ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা যাত্রা শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলেই বাধে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, জলকামান ব্যবহার করে এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এরপরে কৃষকরা লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে, পুলিশ অভিযোগ করেছে ভাঙচুর। জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন কৃষকরা। গতকালের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here