নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
পুরনো বছরকে পিছনে ফেলে নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভাগ্য পরীক্ষার খেলায় এককোটি টাকার পুরস্কার পেলেন মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার দুই বন্ধু। যদিও তাদের দুজনকে বন্ধু বললে হয়তো ভুল হবে কারণ একজনের বয়স ৭০, অপরজনের বয়স প্রায় ৩০ তবুও তারা নিজেদেরকে বন্ধু বলেই দাবি করেছে আজকের এই শুভ দিনে।
জানা যায়, বছর সত্তরের সাহাদ্দুলা মাঝে মধ্যে লটারির টিকিট কাটতে অভ্যস্ত ছিলেন কিন্তু অর্থের অভাবে প্রতিদিন হয়ে উঠতো না ওই বৃদ্ধর।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার বছর পঁচিশের একমাত্র ছেলের, সিভিক ভলিন্টায়ারে কর্মরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছিল,মিঠুন সেখ নামের ওই যুবকের। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর পর থেকে ও ছেলে হারানোর শোকে কার্যত দিশেহারা হয়ে শারীরিক অবনতির কারণে কোনো কাজ করতে পারেন না সাহাদ্দুলা। রোজকার স্বভাব নিজের গ্ৰাম পালি থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকা বাহাদুরপুরে একটি চায়ের দোকানে বসতেন ওই বৃদ্ধ, গতকাল ১ জানুয়ারি একই ভাবে চায়ের দোকানে বসে বছর ত্রিশের যুবক হাসিবুল আলির সাথে একটি লটারি টিকিট কাটে দুই জন শেয়ার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অপর বন্ধু হাসিবুল আলির বাড়ি বড়ঞা থানার বাহাদুরপুর গ্রামে।তার একটি ছোটো কাপড়ের দোকান রয়েছে, কিন্তু তার লটারি কাটার নেশা ছিলোনা বললেই চলে, কিন্তু গতকাল যেহেতু বছরের প্রথম দিন তাই তার বছর ৭০ ওই বন্ধুর সঙ্গে ভাগ্য পরীক্ষা করতে গিয়েই লটারি কাটে ওই যুবক। দুই বন্ধুর ওই ভাগ্য পরীক্ষার খেলাতেই যে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ সেটা বোঝিনি ওদের কেউই।
সাহাদ্দুলা সেখ জানিয়েছেন, ছেলেকে হারিয়ে কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েছিলাম কোন কাজকর্ম করতে পারছিলাম না কোনো রকমে কুঁড়েঘরে দিন আনা দিন খাওয়া চলছিল তারই মতো এই পুরস্কার বয়সের শেষকালে হয়তো কাজে লাগবে তবুও খুবই আনন্দিত জীবনের যে কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতে পারব সেটা হয়তো একটু ভালোভাবে খেয়ে পরে বাঁচতে পারব।
অপরদিকে হাসিবুল আলী জানিয়েছেন, জীবনটা সবে শুরু করেছি একটি ছোট কাপড়ের দোকান বাহাদুরপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করেছি হঠাৎ করেই ইচ্ছা হয়েছিল বছরের প্রথম দিনে লটারি কাটলে তাই বন্ধুকে নিয়ে লটারি কেটেছি ,তাই বন্ধুর সাথেই লটারি দুই বন্ধু তাই ভাগ করে নেব এবং এই লটারি পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584