শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
একই সঙ্গে স্বস্তি এবং আশঙ্কার খবর কলকাতা শহরে। রবিবার সকালে জানা যায়, রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত যুবক যিনি সরকারি আমলার পুত্র, হাবড়ার বাসিন্দা তরুণী এবং বালিগঞ্জের যে যুবক লন্ডন থেকে ফিরে এসেছিলেন তাঁর বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যাতেই আশঙ্কা বদলে যায় দুশ্চিন্তায়। রবিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিনে ফের এ রাজ্যে দুইজন নতুন সংক্রামিত খবর পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে একজন চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে, নতুন দু’জনের মধ্যে একজন পেশায় আলিপুরের কমান্ডো হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিস্ট। জানা গেছে, ১০ মার্চ দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি, ফিরে আসেন ১৭ মার্চ। ফেরার পরেই ২৪ মার্চ জ্বরে অসুস্থ হন ৫০ বছরের এই চিকিৎসক।
শনিবার রাতে শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতা বোধ করায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। উপসর্গ দেখে রবিবারই তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ক’দিনে তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, সেটা খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা গিয়েছে, আরও এক জন ৬৬ বছর আক্রান্তের খোঁজ গিয়েছে। তিনি বরানগরের বাসিন্দা এবং তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। কলকাতার লেকটাউনের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যাতেই মোট ৩ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছিল এ রাজ্যে। তাঁদের মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের রোগী। কালিম্পংয়ে করোনা আক্রান্ত মহিলার সংস্পর্শে আসায় তিনজনকে ভর্তি করা হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। অন্য দুই আক্রান্ত মহিলা এগরার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আজ এদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দমদমের এক বাসিন্দার।সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত নয়াবাদের প্রৌঢ়ের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তবে রাজ্যে প্রথম দিকে পরপর তিন কোভিড-১৯ আক্রান্তদের করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় কিছুটা স্বস্তিতে চিকিৎসকরা।
আরও নিশ্চিত হতে ওই তিন আক্রান্তের শরীর থেকে দ্বিতীয় বার নমুনা সংগ্রহ করে ফের পরীক্ষা করানো হবে। নিশ্চিত প্রতিষেধক না জেনেও রাজ্যে করোনা সংক্রমিতদের যে চিকিৎসা চলছে, তা কাজে দিচ্ছে বলে মত চিকিৎসকদের। করোনা যুদ্ধে রোগীদের পাশে থাকতে পেরে খুশি তারাও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584