নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
পেগাস্যাস কাণ্ডে এবার সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দুই বর্ষীয়ান সাংবাদিক। সুপ্রীম কোর্টের কোন বর্তমান বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে এই ফোনে নজরদারির ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।
দুই প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমার তাঁদের পিটিশনে আর্জি জানিয়েছেন যে, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের লাইসেন্স সরকার বা সরকারি কোনও সংস্থা সংগ্রহ করেছে কিনা এবং নজরদারি চালাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা জানাতে সরকারকে নির্দেশ দিক দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি ওই পিটিশনে এও বলা হয়েছে সামরিক পর্যায়ের স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে গণ নজরদারি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের সমতুল্য। এছাড়াও সংবাদমাধ্যম দেশের গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। সেখানে বহু সাংবাদিকের ফোনেও নজরদারি চালানোর যে অভিযোগ উঠে আসছে তা সরাসরি গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।
আরও পড়ুনঃ এনএইচআরসি-র কমিটির সদস্যদের বিজেপি যোগ, বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের
সর্বোচ্চ আদালতের কাছে করা আবেদনে প্রবীণ এই দুই সাংবাদিক উল্লেখ করেছেন যে, যাঁদের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ সামনে এসেছে, তাঁদের ফোনের ডেটাবেস বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, এক্ষেত্রে পেগাস্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, বিরোধী নেতা, মন্ত্রী, সাংবিধানিক পদে আসীন ও সমাজকর্মীদের ওপর কি বেছে বেছে পেগাস্যাস ব্যবহার করে অবৈধভাবে ফোন হ্যাক করে নজরদারি চালানো হয়েছিল।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের হ্যাকিং সরকার বিরোধী কন্ঠস্বর, অবাধ মতামতের কন্ঠরোধ করার লক্ষ্যেই কি করা হয়েছে? আদালতের কাছে তাঁদের অভিযোগ, পেগাসাস হ্যাকিং সরাসরি যোগযোগ, চিন্তাভাবনা ও তথ্যের গোপনীয়তার ওপর আক্রমণ।
আরও পড়ুনঃ হোটেলেই থাকতে হচ্ছে আইপ্যাক টিমকে, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ ত্রিপুরা পুলিশের
বিচারপতিদের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদনে এই দুই সাংবাদিক উল্লেখ করেছেন যে , সরকার কিন্তু নজরদারির অভিযোগের ক্ষেত্রে কোথাও পেগাস্যাস লাইসেন্স নেওয়ার কথা সরাসরি খারিজ করে দেয়নি। । আর সব থেকে বড় কথা নজরদারি সংক্রান্ত এসব গুরুতর অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সরকার কোনও পদক্ষেপও নেয়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584