নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের রাজা তাম্রধজের ব্যবস্থাপক ছিলেন সার্থকরাম ব্যবত্তা। একদিন সার্থকরামের মা অন্যের বাড়িতে পুজো দেখতে গিয়ে অপমানিত হয়েছিলেন। তারপর ছেলেকে পুজো করার কথা জানিয়েছিলেন ।প্রথমে ঘটে পুজো করা হতো, কিন্তু পরে প্রতিমা এনে পুজো শুরু হয়।
সেই থেকে আজও প্রতি বছর একচালা প্রতিমা তৈরি করে মায়ের পুজো হয়ে আসছে । এলাকায় প্রথম পুজো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় আশেপাশের ৮/১০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এখানে পুজো দেখা, অঞ্জলি দেওয়া ও প্রসাদ গ্রহনের জন্য ভিড় জমায়। এখানে পুজোর কয়েকটা দিন নিয়ম নিষ্ঠা মেনে মা পূজিত হয়ে থাকেন বলেই প্রচুর মানুষ এখানে আসেন ।
ব্যবত্তা বাটির পুজো ভট্টাচার্য্য ও চক্রবর্তী পরিবারের পুজো নামে ও পরিচিত । প্রতিবছর ধুমধাম করে পুজো করা হলেও এবছর করোনা আবহে পুজোর কিছু নিয়মকানুনে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পুজোতে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে এলাকার হাজার হাজার মানুষের জন্য অন্ন প্রসাদ তুলে দেওয়া হত।
কিন্তু বর্তমান এই মহামারি করোনা পরিস্থিতে কিছু সংখ্যক মানুষের হাতেই তা তুলে দেওয়া হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই কর্মসূত্রে ভিন রাজ্য ও ভিন দেশে থাকেন।
তবে প্রতিবছর পুজোর কয়েকদিন আগে বাড়ি ফিরে আসতো কিন্তু এবছর এই পরিস্থিতি হওয়ায় অনেকেই আসতে পারছেন না।সাধারণভাবে বংশ একটি গোত্রের উপর নির্ভর করে। ব্যবত্তার বাটির সকলেই একই গোত্রের কিন্তু সময়ের সাথে কেউ উপাধি লাভ করে ভট্টাচার্য্য আবার কেউ চক্রবর্তী হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুরে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের স্মরণে সম্প্রীতি দিবস উদযাপন
পরিবারের ছেলে মেয়েরাই পুজোর সমস্তকিছু পালন করে থাকে। কিন্তু এবছর সরকারি বিধি – নিষেধ মেনেই নন্দকুমারের ব্যবত্তাহাট এলাকায় ব্যবত্তা বাড়ির পুজোয় শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছেন পরিবারের সদস্যরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584