শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
পরিকল্পনা না করে লকডাউন চালু করে দেওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে দেশ তথা রাজ্যের। রোজগার হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাই শুধু গ্রিন বা অরেঞ্জ জোনই নয়, রেড জোনের মধ্যেও কম সংক্রমণ বা অসংক্রামিত জায়গাকে বেছে নিয়ে এবার ধাপে ধাপে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই এই ঘোষণা করলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা না করে লকডাউন করায় সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে পাওনা বকেয়া টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সব কিছু আটকে রাখার কোন মানে হয়না। করোনাকে ভয় পেয়ে সবকিছু আটকে রাখার কোনও মানে নেই।
আরও পড়ুনঃ তিনভাগে বিভক্ত বাংলার রেড জোন! লকডাউনে নতুন ছাড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, রেড জোনকে এ, বি ও সি -এই তিন ভাগে ভাগ করে আলাদা পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘এ’ চিহ্নিত এলাকায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। ‘বি’ পর্যায়ের জায়গাগুলিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে ছাড় দেওয়া হবে। তবে ‘সি’ নির্ধারিত এলাকায় প্রায় সব কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে।
কি কি বিষয়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জুয়েলারি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্সের দোকান খুলবে। মোবাইল সার্ভিস বাদে খাবারের দোকান খুলবে। সকাল ৬টা থেকে ১২ পর্যন্ত খোলা থাকবে। আমদানি ও রফতানি চালু করা হচ্ছে। গ্রিন জোনে জেলার মধ্যে বাস ও ট্যাক্সি চলতে পারবে। প্রয়োজনে ১০০ দিনের শ্রমিক বাড়াতে হবে। রফতানি ও আমদানি চালু করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের কাছে ৫২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে এবং এই পরিস্থিতিতেও দেনা শোধ করতে হচ্ছে। রেশন খাতে বিপুল খরচ করতে হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে তিনি বলেন, বাসেই প্রায় ৯০ হাজারের মতো মানুষ রাজ্যে ঢুকেছেন। এ ছাড়াও বেসরকারি গাড়িতে করে রাজ্যে এসেছেন অনেকে। যারা যারা রাজ্যে ফিরতে চাইছেন তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনকে আগে জানিয়ে রাখুন। সকলের স্বার্থে সকলের ঠিকঠাক স্ক্রিনিংয়ের জন্য রাজ্যে ফেরার পর সহযোগিতা করুন। ধাপে ধাপে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে আরও ১০০টি ট্রেনের জন্য ছাড় দেওয়া হবে।
এখনই কনটেনমেন্ট জোনে কোন বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। এর বাইরে সব জোনেই একক ভাবে থাকা সব রকমের দোকান খোলা যাবে। তবে শহর থেকে জেলার পুলিশ ও প্রশাসন সেটা ঠিক করে দেবে। তবে সেটা নিয়ে যাতে দুর্নীতি না হয়, সেটা নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, তাঁতের কাজ বুধবার থেকে করা যাবে। খোলা হবে বিশ্ব বাংলা হাট ও খাদি বাজার। গ্রামীণ এলাকায় নির্মাণ কাজও শুরু করা যাবে। এক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজের আওতায় শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584