নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
কঠোর আইন আনার পক্ষে হাঁটছে উত্তরপ্রদেশ সরকার, উদ্দেশ্য লাভ জিহাদ আটকানো। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত খসড়া আইন দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক বলেন যে, “রাজ্যে লাভ জিহাদের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে এরফলে নষ্ট হচ্ছে সামাজিক স্থিতি। যার ফলে সুনাম খোয়াচ্ছে রাজ্য। সেই কারণে এমন ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া আইন আনা হচ্ছে। সব দিক বিবেচনা করে তৈরি হবে আইন।“
পুরনো একটি মামলার প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় যে, “শুধুমাত্র বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী বলেছিলেন, রাজ্যে যাঁরা এমন কাজ করবেন তাঁদের ছবি পোস্টার করে রাস্তায় টাঙিয়ে রাখা হবে।“
আরও পড়ুনঃ শোভনের বাড়িতে বৈশাখীর বিলম্বিত ভাইফোঁটায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা
মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশের পর এবার লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন আনতে চলেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে মধ্যপ্রদেশ-কর্নাটক সরকারও লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে।
তবে এই ধরণের ভাবনার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ মত পোষণ করে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অভিযোগ করেছেন যে, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং জাতি-ধর্মগত বিভাজন সৃষ্টি করতেই ‘লাভ জিহাদ’ শব্দের আমদানি করেছে বিজেপি। ‘বিবাহ’ যেকোন নাগরিকের একেবারেই ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়, সাংবিধানিক অধিকার।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান, রাজ্যে নিম্নগামী তাপমাত্রায় চেনা ছন্দে হাজির হতে চলেছে শীত
এই বিষয়ে রাষ্ট্রের নাক গলানো মানেই ব্যক্তি স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার হস্তক্ষেপ। অতএব, এই বিষয়ে আইন প্রণয়নের ভাবনা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং এই আইন কোনও আদালতেই গ্রাহ্য হবার কথা নয়। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ভালোবাসা বা বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে জিহাদ শব্দের কোনো স্থান নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584