ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডিউটি করতে গিয়ে শিক্ষক ও সহকারি কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন সংঘবদ্ধভাবে মৃত ৫৭৭ জন শিক্ষক ও সহকারী কর্মীর তালিকা জমা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। সঙ্গে তারা আগামী মে মাসের ২ তারিখ ভোট গণনা বয়কটের ইঙ্গিতও দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ শিক্ষক মহাসংঘের সভাপতি দীনেশ চন্দ্র শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘১২ই এপ্রিল রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার পর আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন স্থগিত রাখার অনুরোধ করি। কিন্তু আমাদের অনুরোধকে অগ্রাহ্য করা হয়। আমরা ভোট গণনা বয়কট করতে পারি।’
সংগঠনের তরফে দাবি করা হয় যে শিক্ষকদের সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি কারণ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩রা মে। কিন্তু ভোট গণনা ২রা মে। প্রয়োজন ছিল ভোট গণনা স্থগিত রাখার, না হলে অন্ততপক্ষে শেষ দফার ভোট স্থগিত রাখা। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পেশাল অফিসার এস কে সিং ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ডিএমদের চিঠি লিখে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এক হিন্দি দৈনিকে প্রথম উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে করোনা সংক্রমিত হয় ১৩৫ জন শিক্ষক, শিক্ষামিত্র ও সহকারীর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন, মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে তুলোধোনা করে কৈফিয়ত তলব করেছে। জাস্টিস সিদ্ধার্থ বর্মা ও জাস্টিস অজিত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতিগণ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584