নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
১৮১৪ সালে হামলার মুখে পড়েছিল ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশদের মধ্যে যুদ্ধের সময়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রশক্তির সঙ্গে ব্রিটিশ বাহিনীর এই যুদ্ধ ‘ওয়ার অফ ১৮১২’ নামে পরিচিতি।
এই যুদ্ধ শুরু হয় ১৮১২ সালের জুন মাসে, শেষ হয় ১৮১৫ সালে। এই যুদ্ধের সময়েই ব্রিটিশ বাহিনী হামলা চালিয়েছিল ক্যাপিটল ভবনে। ইউএস ক্যাপিটল হিস্ট্রি সোসাইটির বিশেষজ্ঞরা সংবাদ মাধ্যমকে এই বিবৃতি দিয়েছেন।
আবার ২০৬ বছর পরে এমন ন্যক্কারজনক হামলার মুখে পড়ল ক্যাপিটল ভবন এবং যা কোন বিদেশি শত্রুর থেকে নয় একেবারেই মার্কিনদের হাতেই আক্রান্ত হল দেশের গণতন্ত্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বিডেন-সহ ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই প্রধান দলের একাধিক শীর্ষ নেতা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সমালোচনায় শামিল হয়েছেন সারা বিশ্বের রাষ্ট্র নেতারা।
আরও পড়ুনঃ ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে জো বিডেনকে অনুমোদন মার্কিন কংগ্রেসের
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল স্যার আলেকজান্ডার কুকবার্ন এবং মেজর জেনারেল রবার্ট রসের নেতৃত্বে ১৮১৪ সালের আগস্ট মাসে ক্যাপিটল ভবনে হামলা হয় এবং অগ্নিসংযোগ ও করা হয়েছিল। শুধু ক্যাপিটল ভবন নয়, হোয়াইট হাউস-সহ ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন জায়গায় এ হামলা চালায় ব্রিটিশ বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রড! বড় ধাক্কার মুখোমুখি অনিল আম্বানি
ইউএস ক্যাপিটল হিস্ট্রি সোসাইটি হামলার পর এক বিবৃতিতে বলেছে, “ ইউএস ক্যাপিটল শুধু একটি ভবন নয়, এটি মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতিমূর্তি। এখানে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর আমাদের সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্রের মৌলিক স্মারক।“
সর্বোপরি, ট্রাম্প–সমর্থকদের এই সংগঠিত হামলা কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নয়, নিছকই গণতন্ত্রের অমর্যাদা করতে। তাই এঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584