নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বাগদাদের একটি বিমানবন্দরের কাছে হওয়া একটি হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের কুদ’স ফোরসের প্রধান জেনারল কাসেম সোলেইমানি। পেন্টাগন জানাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকী বাগদাদের স্থানীয় টেলিভিশনেও একথা জানানো হয়েছে। ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডসও জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউসের তরফে টুইটে করা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংস্থা ইরান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস-কুদ’স ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। বিদেশে কর্মরত মার্কিন কর্মীদের রক্ষার জন্যই এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
At the direction of the President, the U.S. military has taken decisive defensive action to protect U.S. personnel abroad by killing Qasem Soleimani, the head of the Iranian Revolutionary Guard Corps-Quds Force, a US-designated Foreign Terrorist Organization.
— The White House (@WhiteHouse) January 3, 2020
ইরাক ও লেবাননের সংবাদ মাধ্যমও কুয়াশিম সোলেইমানির মৃত্যুর খবর প্রচার করেছে।
তবে মার্কিন হামলা বা কারো নিহত হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে শুধু জানিয়েছেন, ইরানের সাথে সম্পর্কিত বিষয়েই তারা আঘাত হেনেছেন, এর থেকে বেশি কিছু বলা তাদের পক্ষে সম্ভবও না।
আরও পড়ুনঃ অপহরণ করে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার ১
বিদেশি গণমাধ্যম বিবিসি থেকে জানা গিয়েছে, পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশে থাকে মার্কিন নাগরিকদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে মার্কিন সেনাবাহিনী এক অভিযানে জেনারেল সুলেইমানিকে হত্যা করেছে।”
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে বিক্ষোভকারীরা বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে। এরপর মার্কিন সেনাদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় – ঐ ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও জানা গিয়েছে, “ইরানের ভবিষ্যত আক্রমণের পরিকল্পনা বানচাল করতে এই হামলা চালানো হয়। সারাবিশ্বে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।”
আরও পড়ুনঃ বিড়ম্বনায় ইউপি পুলিশঃ ৬ বছর আগে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শান্তি ভঙ্গের নোটিশ
১৯৯৮ সাল থেকে মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ইরানের কুদ’স ফোর্সের প্রধান পদে ছিলেন। কুদ’স বাহিনী ইরান রেভোলিউশনারি গার্ডসের একটি অভিজাত বাহিনী, যা দেশের বাইরে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যে লেবাননের হিজবোল্লাহ ও প্যালেস্তানি ইসলামি জিহাদের মতো উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোকে সমর্থন করতে ও সাহস জোগাতে সোলেইমানির নেতৃত্বে অস্ত্র সাহায্য করা হতো।
কাসেম সোলেইমানি ১৯৮০-র দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় প্রথম পরিচিতি লাভ করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584