নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
ক্রমেই বাড়ছে চিনা আগ্রাসন। ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সংঘর্ষকেও ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা। চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেছেন যে, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের মতো এশীয় দেশগুলির উপর যেভাবে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে চিন তা যথেষ্টই উদ্বেগের। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে মার্কিন বিদেশসচিব বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের আগ্রাসনের কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে। জার্মান মার্শাল ফান্ডের ভার্চুয়াল ব্রাসেলস ফোরাম ২০২০-তে এক প্রশ্নের জবাবে এহেন মন্তব্য করেছেন পম্পেও।
তিনি বলেন, “চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে মোকাবিলার জন্য আমাদের সবরকম প্রস্তুতি যাতে থাকে সেটাই নিশ্চিত করা হচ্ছে। কারণ, আমরা মনে করি বর্তমান সময়ে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তা রুখে দিতে সঠিক স্থানে সমস্ত রকম রসদ ও প্রস্তুতি থাকা উচিত।” পম্পেওর কথায়, ‘বর্তমান সময়ের এই চ্যালেঞ্জ’- এর মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মেক্সিকোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
গত সপ্তাহেও মাইক পম্পেও চিনের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন।ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ানো এবং কৌশলগতভাবে দক্ষিণ চিন সাগরের সমীকরণের জন্য চিনাবাহিনীর নিন্দা করেন তিনি। গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। ওই সংঘর্ষের সময় জখম হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584