নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
একটা সময় ছিল যখন বীরাপ্পন নাম শুনলেই ভয়ে আঁতকে উঠতেন তামিলনাড়ুর পশ্চিম ঘাট জঙ্গলের বাসিন্দারা। আশি-নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ ভারতের ত্রাস ছিল চন্দনদস্যু বীরাপ্পন। এবার তাঁর মেয়েকেই বড় পদ দিল তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপি। মাস পাঁচেক আগেই গেরুয়া শিবিরে শামিল হয়েছিলেন বীরাপ্পনের বড় মেয়ে বিদ্যা রানি। এবার পেশায় আইনজীবী বিদ্যা রানিকেই তামিলনাড়ু বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি করে দেওয়া হল। দলের এত বড় পদ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ২৯ বছরের বিদ্যা।

তাঁর কথায়, “আমি কোনও জাতির কথা ভেবে দলে যোগ দিইনি। মানবিকতাই আমার কাছে প্রধান বিবেচ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবিধ জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা তাঁকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় অনুপ্রাণিত করেছে। জাত-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে শিক্ষাদানের মাধ্যমে জনসেবায় অংশগ্রহণ করতে চাই।”
আপাতত কৃষ্ণগিরিতে একটি স্কুল চালান বিদ্যা বীরাপ্পন। তামিলনাড়ুতে এখনও কল্কে পায়নি বিজেপি। ভান্নিয়ার জাতির ভোটের কথা মাথায় রেখেই পদ্ম শিবির দলে ঠাঁই দিয়েছে বীরাপ্পন কন্যাকে। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তবে, এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন বিদ্যা নিজে।
আরও পড়ুনঃ ৩ না ৫ পচ্ছন্দ করবেন মোদী, আগষ্টে শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ
এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণণের হাত ধরে পদ্মশিবিরে যোগ দেন বিদ্যা। তখনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “আমজনতার জন্য কাজ করতে চাই। দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্প আমাকে আকর্ষণ করেছে। তাই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলাম।” বীরাপ্পন কন্যা বিদ্যা বিজেপিতে নাম লেখালেও তাঁর মা মুথুলক্ষ্মী এখনও পিএমকে অনুমোদিত তামিজাঘা ভেজুরিমাই কাটচি সংগঠনের সদস্য।
আরও পড়ুনঃ করোনার উৎপত্তি উহানের গবেষণাগার থেকেই, প্রমাণ সামনে আনল আমেরিকা
বাবা হলেও ছোট থেকে মাত্র একবারই চন্দন দস্যু বীরাপ্পনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল মেয়ের। এদিনও প্রয়াত বাবার কথায় চোখ ভেজাল মেয়ে। মেয়ে বিদ্যার কথায়, “স্কুলে পড়ি তখন, বয়স সাত বছর হবে, সেই সময় গরমের ছুটিতে একবার ঠাকুরদার বাড়ি কর্নাটকের সীমানায় গোপীনাথমে গিয়েছিলাম। আমি খেলছিলাম। তখনই বাবা বেশ কিছুক্ষণ আমার সঙ্গে কাটিয়েছিল। আমার মনে পড়ে তিনি আমাকে বলেছিলেন, ভাল করে লেখাপড়া করে ডাক্তার হতে, মানুষের সেবা করতে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584