ভাঙা মেলায় মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে

0
294

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

শুধু মস্তানিতে নয়, এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নাম জড়ালো বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ঘটনাটি ঘটেছে পৌষমেলার মাঠে, অভিযোগকারী মহিলা বোলপুরের বাসিন্দা।

নিজস্ব চিত্র

রবিবার সন্ধ্যেবেলায় কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার জন্য মেলার মাঠ থেকে বেরিয়ে আসছেন সে সময় আচমকাই তাকে ১০-১২ জন যুবক ঘিরে ধরে, এরপর মহিলার হাত থেকে সমস্ত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় যুবকরা। কেন তার সাথে যুবকরা এই ধরনের ব্যবহার করছে জানতে চাইলে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা উপাচার্য বলেন গলা ধাক্কা দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিতে এই কথা শোনার পর যুবকরা তাকে ধাক্কা দিয়ে মাঠে ফেলে দেয় এবং তার ব্লাউজ ছিড়ে দেয় পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় আশেপাশে থেকে বেশকিছু মানুষ দৌড়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং মহিলাকে উদ্ধার করে।

অভিযোগ পত্র। নিজস্ব চিত্র

উন্মুক্ত যুবক ও তাদের নাটের গুরু উপাচার্যের হাত থেকে একা একজন মহিলাকে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে এই কথা উপস্থিত মানুষ জানতে চাইলে উপাচার্য তাদেরকে কোন উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে তার মস্তান বাহিনীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। নিগৃহীতা মহিলা জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছর পৌষ মেলা শেষ হবার পর ভাঙা মেলাতে আমরা বোলপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা কম দামে সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করে থাকি। কিন্তু বুঝবো কি করে মেলার মাঠে আমাকে এইভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নির্দেশে ১০-১২ জন মিলে আমাকে হেনস্থা করে আমার শ্লীলতাহানি করবে। ইতিমধ্যে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

সোমবার শান্তিনিকেতন থানায় পৌষমেলার ৩৩৮ নং স্টলের মালিক মানিক শেখ শান্তিনিকেতন থানায় অপর একটি লিখিত অভিযোগ করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং কর্মসচিব আশা মুখার্জির বিরুদ্ধে, ব্যবসায়ী মানিক সেখ বলেন, পৌষমেলায় জুতোর স্টল দিয়েছিলাম সন্ধে গড়িয়ে আসছে দেখে বস্তায় সমস্ত জিনিসপত্র ভরে দোকান স্থায়ীভাবে তুলে দেবার জন্য কাজ করছিলাম সে সময় হঠাৎ করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায় দোকানের সামনে হাজির হন, কুড়ি থেকে ত্রিশ জন লোকজন রয়েছে, আশা মুখার্জি যিনি বিশ্বভারতীর কর্মসচিব তিনি আমাকে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করে দোকান তুলে নিতে বলে তার মধ্যেই উনাদের সঙ্গে আসা বেশ কিছু যুবক আমার জুতোর বস্তা গুলো তুলে ফেলে দিতে শুরু করে আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করা হয়। বহু বছর থেকে মেলায় ব্যবসা করে আসছি কিন্তু বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এই ধরনের ভূমিকা কোনদিন দেখিনি।

আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর এবং সুবোধ মিত্র একযোগে এক সুরে দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য পৌষ মেলাকে নিয়ে যা করেছেন তা আমরা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এটা ভাবা যায়না। উপাচার্যের আসন হল পবিত্র, উপাচার্য সেই চেয়ারটির মান-সম্মানকে কার্যত আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। বিশ্বভারতী বা গুরুদেবের সাধের স্বপ্নের শান্তিনিকেতন কলুষিত ও কলঙ্কের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজেই। আশ্রমিক সুবোধ মিত্র একধাপ এগিয়ে দাবি করেন যে অনাচার বিশ্বভারতী জুড়ে শুরু আদালতের কড়া নাড়বে শ্রমিকরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here