বিজয়কে ভারতে ফেরাতে আইনী বাধা মুক্তি

0
78

সমর্পিতা বন্দোপাধ্যায়, ওয়েবডেস্কঃ

এবার আর বিজয় মালিয়াকে ভারতে ফেরাতে কোনো অসুবিধা রইলো না। আইনের সব দরজা বন্ধ হলো তার কাছে। পলাতক বিজয় মালিয়ার প্রত্যার্পন কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল। ব্রিটেন হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মালিয়া। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হল না। তবে আদালতের সূত্রের খবর হলো , প্রত্যাপর্নের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন না মালিয়া। ফলে তার সমস্ত আইনি পথ বন্ধ হয়ে গেল।

Vijay Mallya | newsfront.co
ফাইল চিত্র

বিজয় মালিয়া ভারতের একাধিক ব্যাংক থেকে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা ধার ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকা পরিশোধ না করেই দেশ ছাড়েন। তারপর তাঁকে দেশে ফেরাতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত সরকার। কিন্তু একের পর এক আইনি মারপ্যাঁচে সেই ছক বানচাল করতে সচেষ্ট লিকার ব্যরনও।

কখনও তাঁর দাবি, তিনি টাকা ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছুক কিন্তু ভারত সরকার সেই টাকা নিয়ে চাইছেন না আবার কখনও বলেছেন, তিনি এতটাই গরিব যে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আর এই কারণে বিরোধী পক্ষের কথার বানের নিশানা হতে হয়েছে মোদী সরকারকে। কিন্তু এবার আর তাঁর বাঁচার উপায় নেই বলেই মনে করছেন অনেকে ।

আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ঐচ্ছিক কাজের সুযোগ ‘ট্যুর অফ ডিউটি প্রকল্প’-এ

ভারতের কাছে যাতে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ করে তার জন্য ব্রিটেনের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পালটা ফের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন মালিয়া। তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

জানানো হয়, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তখনই আবেদন করা যায়, যখন কোনও গুরুত্বপূর্ণ আইনি জটিলতা থাকে। তাও রায়দানের ১৪ দিনের মধ্যে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও সেই রকম সমস্যা নেই। ফলে মালিয়ার প্রত্যার্প কার্যত নিশ্চিত।“ ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল সিদ্ধান্ত নেবেন তাকে কবে ভারতে ফেরানো হবে । তবে সেটা আগামী ২৮ দিনের মধ্যেই বিজয় মালিকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে বলে আদালত সূত্রের খবর ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here