নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বেহাল রাস্তার কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া শিল্প শহরের পার্শ্ববর্তী হোরখালি অঞ্চলের ফতেপুর গ্রামে ধারাবাহিক ভাবে এলাকার মানুষ ঢালাই রাস্তার দাবি করে আসছে৷ দীর্ঘদিন আবেদন করা সত্বেও কোনো সুরাহা হয় নি, জানা গিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা ধরে হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটির কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হয় এলাকাবাসীর তরফ থেকে ৷
হলদিয়া শিল্প শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ এই রাস্তা হোড়খালী অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের শিল্পকর্ম সংস্থানে, আর্থিক উপার্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ সেই সঙ্গে এরসাথে গৌরাঙ্গপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গৌরাঙ্গপুর শীতলা মন্দির,গৌরাঙ্গপুর শিশু- শিক্ষা কেন্দ্র, ফতেপুর মসজিদ, ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর আল আমিন অনাথ ফাউন্ডেশান, তাজপুর শীতলা মন্দির,গৌরাঙ্গপুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য,ধর্মীয়,বেসরকারি সমাজিক প্রতিষ্ঠান নির্ভর শীল৷ এই সম্বন্ধে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিএইচও তান্বিশা পন্ডা বলেন রাস্তার বেহাল অবস্থার ফলে গর্ভবতী মায়েদের চেক -আপ, শিশু দের টিকা -করণ সেবা গ্রহণে যাতায়াত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে,সাধারণ মানুষ সহ গর্ভবতী মায়েরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ৷
স্বাস্থ্য -কেন্দ্রের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও বিস্তর অসুবিধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে, কারণ কোন ভ্যান চালক আসতে চাইছে না ৷ স্থানীয় এএনএম ম্যাডাম অকপটে বলে ফেলেন,” আমারা ‘দিদিকে বলো’ তে ও ফোন করে জানিয়েছি, তাও প্রশাসনের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই” ৷গৃহবধূরা বলেন আমারা সরাসরি প্রধান ম্যাডাম কে জানাই তিনি কোন কর্ণপাত করেনি, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সেক আবুল হাসান বলেন, “আমি ২০১৮ সাল থেকে জন প্রতিনিধি হয়েছি ,প্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকেই ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এইচডিএ তে জানিয়েছি, পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পর ৪ নং হোড়খালী অঞ্চলের প্রধান করবী কালসা ম্যাডাম কে ও বারে বারে জানিয়েছি, তিনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷
আরও পড়ুনঃ ভগবানপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল যাত্রীবাহী বাস
দুই দিন আগে হোড়খালী অঞ্চলের উপপ্রধান সেক আতিয়ার রহমান কে ফোন করে রাস্তার দূরাবস্থার কথা জানাই,এমন কি সুতাহাটা ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় সিকদার মহাশয় ও জেলা পরিষদের সদস্য আনন্দময় অধিকারীর দৃষ্টি গোচরে দিয়ে ছি, বিভিন্ন সরকারি দফতরেও জানানো হয়েছে”৷
আরও পড়ুনঃ উন্নতি হয়েছে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির
তার প্রতিলিপিও দেখানো হয়েছে ৷মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয় সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ৷ তিনি আরও বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের যে অভিযোগ তা সত্য, আমি স্বীকার করছি, সব মিলিয়ে এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ কবে মিটবে তা নিয়ে দিন গুনছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584