কনকনে ঠান্ডায় একটা ত্রিপলের নীচে পালা করে উষ্ণতার খোঁজ ভাঙন বিধ্বস্তদের

0
75

নিজস্ব সংবাদদাতা,মুর্শিদাবাদঃ

টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ ভাঙনে তলিয়ে গেছে শত শত ঘর। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দিন যাপন করছেন কয়েক হাজার পরিবার।কনকনে ঠান্ডায় গঙ্গার ধারে ত্রিপল খাঁটিয়ে কোনরকমে বসবাস করলেও নেই প্রশাসনিক সহায়তা ।

river bank break | newsfront.co
ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা ৷ নিজস্ব চিত্র

ভাঙনের গ্রাসে নিঃস্ব হয়ে চার মাস অতিবাহিত হলেও তারা আজ ও বাস্তুহারা । ফলে জায়গা না থাকায় একটি ত্রিপলের নীচে পালা করে রাত্রি যাপন করছেন বাসিন্দারা।উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৪ ই আগস্ট থেকে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ধানঘরা, হিরানন্দপুর, ধুসরীপাড়া ও শিবপুর এলাকা। গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গেছে কয়েকশো ঘর ।

villager | newsfront.co
রীতা মন্ডল, ভাঙন বিধ্বস্ত ৷ নিজস্ব চিত্র

তলিয়ে গেছে কয়েকশো বিঘা কৃষি জমি, আমবাগান। তলিয়ে গেছে বিএসএফ চৌকি। কয়েক দিনের তান্ডবে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র জীবন যাপন করছেন সাধারণ মানুষ। জমি দেওয়ার জন্য প্রশাসন তৎপরতা চালালেও এখনও পাননি জমি। ফলে একই ত্রিপলের নীচে বসবাস করছেন বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ দিনেদুপুরে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই ফাঁসিদেওয়ায়

শিবপুরের বাসিন্দা রীতা মন্ডল জানান, স্বামী অসুস্থ, বাড়িঘর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। এখন কোথায় যাব? অন্যের জমিতে কোনরকমে ত্রিপল খাটিয়ে আশ্রয় নিলেও তিনজনের বেশি থাকা যাচ্ছে না। কনকনে ঠান্ডায় দূরের আত্মীয়ের বাড়িতে পালা করে ঘুমাতে হচ্ছে আমাদের।

আরও পড়ুনঃ মাদারিহাট স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে আলিপুরদুয়ার ডিআরএম-কে ডেপুটেশন তৃণমূলের

এখনও প্রশাসনের কোনোরকম সাহায্য মেলেনি।একই মত অঞ্জলি মন্ডল, সনৎ মন্ডলদের।এবিষয়ে নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্ৰধান সিউটি হালদার জানান, ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিত করণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এখন একটু অসুবিধা হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here