নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ব্লকের প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় তৈরি রাস্তার বেহাল দশা । ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের খঞ্চি হইতে ঠেকুয়া বাজার পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তা পুরো বেহাল অবস্থায় রয়েছে ৷ বিশেষ করে ভ্যান স্ট্যান্ড নামক জায়গায় রাস্তা এতটাই খারাপ যে, দিনের বেলাতেও টোটো, ট্রেকার এমনকি ছোট গাড়ি গুলি দুর্ঘটনার শিকার হয়৷
এই বেহাল রাস্তার কারণে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷ এই রাস্তা দিয়ে রোজ প্রায় ১৫০টি টোটো যাতায়াত করে ৷ কিছু ট্রেকার ঠেকুয়া বাজার থেকে নন্দকুমার পর্যন্ত এবং কিছু ট্রেকার তমলুক পর্যন্ত যাতায়াত করে ৷ কুকড়াহাটি, পাঁশকুড়া, গেঁওখালি রোডে ৪টি বাস নিয়মিত যাতায়াত করে। রাস্তা বেহাল হওয়ার দরুণ বর্তমানে বেশ কিছু ট্রেকার, টোটো বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়া হেড পোস্ট অফিসে টিএমসিপির বিক্ষোভ
এক টোটো চালক চোখের জলে বলেন এত টোটো চলে, প্যাসেঞ্জার এমনিতেই কম তার উপরে রাস্তা খারাপের জন্য দু’দিন অন্তর যানবাহনে নানান সমস্যা দেখা যায়, যাতায়াত করা যাচ্ছে না ৷প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েত প্রধানকে বহুবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। সাওড়াবেরিয়া জালপাই এলাকার এক গ্রামবাসী রামকৃষ্ণ দাস বলেন, আমি নিজে নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিননাথ দাসকে বহুবার জানিয়েছি, শুধু তাই নয় আমি ১৫০জন লোক নিয়ে গিয়ে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছিলাম, তারা কথা দিয়েও কথা রাখেনি।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কোচবিহারে টানা লড়াইয়ে অগ্রগামী কৃষকরা
প্রত্যহ যাতায়াতকারী রাজু জানা বলেন আমপান ঝড় থেকে শুরু করে প্রতি বছর বর্ষার কারণে এবং এই রাস্তার উপর দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তার এই হাল ৷ বহুবার জানিয়েছি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকে, কোন কাজ হয়নি। আমরা চাই দ্রুত এই রাস্তার মেরামতির কাজ সম্পন্ন হোক ৷ আর এক এলাকাবাসী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে ১ নম্বর ২ নম্বর ৩ নম্বর ৪ নম্বর ১১ নম্বর ১২ নম্বর এই সমস্ত অঞ্চলের লোক যাতায়াত করেন এবং এই রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি গ্রামীণ হাসপাতাল, হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়াই মুশকিল ।
যেকোনো মূহুর্তে বেহাল রাস্তার কারণে গাড়ির ঝাঁকুনিতে এমনিতেই মারা যেতে পারে রোগী ।চক শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ কুমার আদক বলেন রাস্তাটি পিডব্লিউডির আওতায় , আমরা জানিয়েছি প্রশাসনিকভাবে, তবে আবার বলবো যাতে রাস্তা মেরামতির কাজ দ্রুততর হয় ।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের উত্তরপ্রদেশের মত গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটবে! বিস্ফোরক মন্তব্য সায়ন্তন বসু’র
টোটো চালক একাদশী মাইতি দুঃখের সঙ্গে বলেন, আমাদের উপায় নেই তাই এই রাস্তার উপরেই আমাদের গাড়ি চালাতে হয়। দুদিন ছাড়া টায়ার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কোনরকমে সংসার চালাই। তাই আমরা রাস্তা সাড়াইয়ের কাজটি যেন তাড়াতাড়ি হয় তার জন্য আবেদন জানাচ্ছি ৷
ধান্যঘর এলাকার গ্রামবাসী রবীন্দ্রনাথ মহাবতি বলেন, রাস্তা তৈরির কনস্ট্রাকশন একদম ঠিকমত হয়নি। উপর উপর করে কাজ করেছে , নীচে ঠিকমতো মাটি না বসায় দুদিন ছাড়া ঝড়-বৃষ্টিতে রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তবে আশা করবো রাস্তা মেরামতের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584