নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
নতুন করে মালদহের কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের বাঙ্গীটোলা ও বৈষ্ণবনগর এলাকায় গঙ্গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। যার ফলে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার কয়েক হাজার পরিবার। ভাঙন কবলিত রিং বাঁধ থেকে গঙ্গার দূরত্ব মাত্র ৩০ মিটার। জানা গিয়েছে, গত দু-তিন দিন থেকে ওই দুই এলাকায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে। জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে গঙ্গা তার ধ্বংসলীলা শুরু করেছে।
সেচ দফতর এই ঘটনার উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখলেও কালিয়াচকের বাঙ্গীটোলা ও বৈষ্ণবনগর এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে ভাঙন হলেও রবি ও সোমবার থেকে ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গঙ্গা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফিট ঢুকে গিয়েছে। গঙ্গার ধার বরাবর ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমি গঙ্গার কবলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলা আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হতেই শুরু বিক্ষোভ গোয়ালপোখরে
ফলে ভাঙনের পাশাপাশি গোটা কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকে ১০-১২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ওই বাঁধের ধার বরাবর বসবাস করছে। নদী ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় এই গ্রামগুলির মানুষের আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি বেড়েছে । মূলত পঞ্চনন্দপুরের গোলকটোলা, পাঁচকুড়িটোলা, খাসমাহাল, দড়িদিয়ারা, গৌড়পাড়া, কামালতিপুর, কামালউদ্দিনপুর প্রভৃতি এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে।
ফলে গঙ্গার তীরবর্তী বাঙ্গীটোলা অঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেচ দফতর ভাঙন রোধের জন্য কোনও কাজ করছে না। স্থানীয় বাঙ্গীটোলা অঞ্চলের প্রধান গোটা বিষয়টি বিডিও কে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পরপর ছয়টি মিটিংয়ে অনুপস্থিতির কারণে উপপ্রধানকে বহিষ্কারের দাবি তৃণমূলের
সেচ দফতর অবশ্য জানিয়েছে, ‘ওই এলাকার পরিস্থিতির উপরে আমাদের পূর্ণাঙ্গ নজর আছে। প্রয়োজন হলে আমরা সেখানে বিশেষভাবে ভাঙন রোধের কাজ করবো’।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584