নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিংঃ
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মতিধর ও বিজলিমুণি চা বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্কে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়।জানা গিয়েছে যে বুধবার রাতে বাগানের ম্যানেজার যখন বাগান থেকে নিজের কোয়ার্টারে ফিরছিলেন তখন নয় নম্বর সেকশনে দুটি বড় ও দুটি ছোট মোট চারটি চিতাবাঘ রাস্তার উপরে বসে থাকতে দেখতে পান।
এরপর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। এবং সেখান থেকে কোন রকম ভাবে চলে যান। এই খবর চা বাগানে চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা বাগান চত্বরে। যদিও চা বাগানের শ্রমিক পিটার এক্কা বলেন যে,” আমাদের এই চা বাগানের বিভিন্ন সেকশনে চারটি বাঘ ঘোরাঘুরি করে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাই বাগানে।”
অপর এক মহিলা চা শ্রমিক পার্বতী মিঞ্চ বলেন যে , “আমাদের ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে কাজে যেতে হয়। আর কাজ না করলে খাব কি তাই বাধ্য হয়ে কাজে যাচ্ছি। এমনকি কাজ করতে করতে বাঘের সামনা সামনি পড়তে হচ্ছে। তখন কোন রকম ভাবে জীবন বাঁচিয়ে পালাচ্ছি। বিষয়টি বাগান কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন রকম কাজ হয়নি।”
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটা ডাকঘরের বেসিনে সাপ, আতঙ্ক
এই বিষয়ে মতিধর ও বিজলিমুণি চা বাগানের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার অভিষেক চক্রবতী বলেন যে,” প্রত্যেকে দিন চা বাগানের বিভিন্ন সেকশনে চারটি চিতাবাঘ ঘোরাঘুরি করে। এর কারণে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে চান না। আর তাদের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমাদের বাগান কর্তৃপক্ষকে ধরবে চা শ্রমিকরা।
আরও পড়ুনঃ নো এন্ট্রি জোনের দাবিতে ফারাক্কা এনটিপিসি মোড়ে পথ অবরোধ
এমনকি আমরা এই বিষয়ে বাগডোগরা বনবিভাগের বেশ কয়েকবার লিখিত জানিয়েছি তা সত্ত্বেও কোন লাভ হয়নি। এই কারণে আমরা এখন ব্যাপক সমস্যায় পড়েছি।
তাই আমরা এখন চাই দ্রুত যেন চিতাবাঘ গুলো ধরার ব্যবস্থা করুক বন দপ্তর।” এই বিষয়ে বাগডোগরা বনবিভাগের রেঞ্জার সমিরণ সমীরণ রাজ বলেন যে ,”ওই এলাকায় টহলদারি চালানো হবে। এমনকি প্রয়োজন হলে খাঁচাও পাতা হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584